মাত্র ২৮ ঘন্টার ব্যবধানে রাজধানীতে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় আবার এক প্রাণ ঝরল। গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের উল্টোদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ময়লার গাড়ির চাপায় প্রাণ হারালেন আহসান কবির খান। কবির খান দৈনিক প্রথম আলোর সাবেক কর্মী।
এর আগে গত বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ময়লার গাড়ির চাপায় মৃত্যু হয় নটরডেম কলেজের ছাত্র নাঈম হাসানের। গতকাল বসুন্ধরা সিটির সামনের ঘটনা নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী মো. সাব্বির বলেন, অন্য সব যানবাহনের সঙ্গে উত্তর সিটির ময়লার গাড়িটি আটকে ছিল। সিগন্যাল ছাড়া মাত্রই সিগন্যালে থাকা একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলে থাকা আহসান কবীর খান ছিটকে পড়েন। তিনি বাইকের পেছনে ছিলেন। তার মাথার ওপর দিয়ে গাড়ির চাকা চলে যায়। এরপর পেছন থেকে লোকজন ধাওয়া দেয় গাড়িটিকে। গ্রিনরোড সিগন্যাল পর্যন্ত গিয়ে চালক এবং তার সহযোগী গাড়ি সেখানে রেখে পালিয়ে যায়।
ট্রাফিক সার্জেন্ট অসীম কুমার সূত্রধর বলেন, ঘটনাটা ঘটেছে আড়াইটার দিকে। নিহত কবীরের মাথা থেঁতলে গেছে। তাকে খালি চোখে চেনার কোনো উপায় নেই। তার কাছে থেকে পরিচয়পত্র থেকে তাকে শনাক্ত করা হয়। নিহতের স্ত্রী নাদিরা পারভীন বলেন, আমার স্বামী বেলা ১১টায় নাস্তা খেয়ে মোহাম্মদপুর ও উত্তরা যাবেন বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। পরে খবর পেলাম তিনি আর নেই। এসব কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন স্ত্রী নাদিরা।
তিনি জানান, কবির খান প্রথম আলোর সাবেক কর্মী। তিনি বর্তমানে সংবাদে গ্রাফিক্সে কাজ করছিলেন। দুই সন্তান নিয়ে তারা মগবাজারে নিজস্ব ফ্ল্যাটে থাকতেন। কবিরের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির সদর থানায়। কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনার পরপরই ময়লার গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন