রাজশাহীর গোদগাড়ী উপজেলায় মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত ৫ আসামীকে ছিনতায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছড়িত থাকার অভিযোগে গোদাগাড়ী পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পদক গোলাম কাউসার মাসুম, নবনির্বাচিত কাউন্সিলর শহিদুল ইসলামসহ ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আর এই ঘটনাটি গোদাগাড়ীর টক অফ দা টাউনে পরিনত হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের ছিনিয়ে নেওয়ায় কমিশনার শহিদুল, যুবলীগ নেতা মাসুমসহ ছাত্রলীগের ৫ নেতাকর্মী জড়িত বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেল ৬ টার দিকে পৌর এলাকার বুজরুজ রাজারামপুর হলের মোড় এলাকায় একটি বাগান হতে মাদক সেবনরত অবস্থায়, রামজান, সাদ্দাম, সুমনসহ মোট ৫ জনকে হাতে নাতে আটক করে রাজশাহী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। পরে তাদের কে আটক করে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: নাজমুন নাহারের নিকট নিয়ে যায়। এই সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের মাদক সেবনের জন্য ১ মাসের কারাদন্ড প্রদান করে।
এর আগে আটককৃতদের ছাড়াতে জোর তদবির করে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনি সম্পাদক গোলাম কাউসার মাসুম, কাউন্সিলর শহিদুল ইসলামসহ পৌর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের তদবিরে কর্ণাপত না করে এক পর্যায়ে সেখানে চিৎকার- চেঁচামেচি করে সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন সংখ্যায় কম থাকায় তারা ৫ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জানে আলমের তৎপরতায় গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি খলিলুর রহমান পাটোয়ারীর সহযোগিতায় পালিয়ে যাওয়া ৫ আসামীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
তবে এই ঘটনায় পালিয়ে যেতে সহযোগিতা প্রদানকারী গোলাম কাউসার মাসুম ও আরেকজনকে উপজেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আটক করে রাখে পরে যুবলীগ নেতা গোলাম কাউসার মাসুম ও কাউসার মাসুমকে ১ মাস করে কারাদন্ড অন্য ৫ জনকে ১ বছর করে কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতের জন্য একাধিকবার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারের মোবাইল ফোনে কল ও এসএমএস দিয়ে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জানে আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পালিয়ে যাওয়া ৫ আসামীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এই মূহুর্তে খুব ব্যস্ত আছি পরবর্তি কি করনীয় হচ্ছে তা জানিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
ঘটনার বিষয়ে রাজশাহী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ গোয়েন্দা শাখার গোদাগাড়ীর অভিযানে দায়িত্বে থাকা সহকারি পরিদর্শক আশরাফুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে পরে কথা বলছি বলে দ্রুত ফোনটি কেটে দেন।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি খলিলুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, এমনি ঘটনা শুনেছি তবে বিস্তারিত জানতে গোদাগাড়ী সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রোট নাজমুন নাহারের সাথে যোগাযোগ করে জেনে নিলেই ভালো হবে বলে জানান। ওসি তদন্তের সাথে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি রিসিভ করেন নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন