শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক খান বারির বিরুদ্ধে সালিশে এক প্রবাসীর বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতন ও জুলুমের বিচার চেয়ে উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের উত্তর বালাশুর গ্রামের মৃত-কুড়ি ফকিরের ছেলে চাঁনমিয়া ফকির মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
চাঁনমিয়া ফকির জানান, প্রায় ২ বছর তার ছেলে সজীব ফকির(২৮) এর সাথে উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের টেটামারা বালাশুর নতুন গ্রামের বিউটি বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পরে ছেলে প্রবাসে চলে যায়। ছেলের সাথে প্রায়ই মোবাইল ফোনে পুত্র বধূ বিউটির ঝগড়া হত। হঠাৎ গত ২০ জানুয়ারি সকালে পুত্রবধূ তার ব্যবহৃত কাপড় ও স্বর্ণালংকার নিয়ে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। পরে জানতে পারি পুত্রবধূ বিউটির সাথে অন্য এক ছেলের সম্পর্ক রয়েছে। তারপরও আমি তাকে আনতে যাই।
কিন্তু সে আমার ছেলের সাথে সংসার করবেনা বলে জানায়। গত ১০ মার্চ রাঢ়ীখাল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে আমাকে হাজির থাকার জন্য একটি নোটিশ করলে আমি পরিষদে হাজির হই। পরিষদে উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে রাঢ়ীখাল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক খান আমাকে বলেন, ইলিয়াসের মেয়ে বিউটি তোর ছেলের সংসার করবেনা। তুই ৩ লক্ষ টাকা দে। আমি চেয়ারম্যানকে বলি ছেলের অবর্তমানে আমি কিভাবে সিদ্ধান্ত নিব? ছেলে ফিরে এলে আপনি যা ভাল মনে করেন করবেন। এ কথাবলার সাথে সাথে ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে ধাক্কা দিয়ে বলে ওকে পুলিশে দিয়ে দে।
পরে উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কথায় চেয়ারম্যান শান্ত হয়ে আমার কাছ থেকে জোর পূর্বক একটি সাদা কাগজে আমার টিপসই রেখে ছেড়ে দিয়ে বলে, আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে টাকা না দিলে মিথ্যা মামলা দিয়া মজা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এ ব্যপারে চান মিয়া ফকির বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এ ব্যাপারে রাঢ়ীখাল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক খান বারীর কাছে জানতে চাইলে
তিনি বলেন,আমি কারো কাছে টাকা চাইনি এবং কারো কাছ থেকে সাদা কাগজে টিপ সই রাখিনি। বরং চাঁনমিয়া ফকির আমার কাছে বিচার চেয়েছে। আগামী ১মাসের মধ্যে তাদের উভয় পক্ষকে মিল মিশ হয়ে যাওয়ার কথা বলেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন