নারায়ণগঞ্জে গত রবিবার ক্বওমী মাদরাসাভিত্তিক ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের হরতালে নারায়ণগঞ্জে রীতিমতো তান্ডব চালিয়েছে পিকেটাররা। জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে হরতালের তেমন প্রভাব দেখা না গেলেও সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-ট্রগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি ভোর থেকে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত পর্যন্ত ছিল হরতাল সমর্থকদের দখলে।
পুলিশের তথ্যমতে, এই সময়ের মধ্যে ১৮টি ট্রাক, বাস, কাভার্ডভ্যানে আগুন, নির্বিচারে যানবাহনে ভাংচুর, সাংবাদিকদের মারধর করেছে হেফাজতের পিকেটাররা। তবে এই কথা মানতে নারাজ হেফাজতের নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান। উল্টো তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। তিনি বলছেন, হেফাজতের পিকেটাররা জোহরের নামাজের পর হরতালের মাঠ ছেড়ে দেওয়ার পর সেখানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অনুপ্রবেশ করে এবং তারাই পরবর্তী নাশকতামূলক তান্ডব চালিয়েছে।
সামবার (২৯ মার্চ) রাতে হেফাজতের ডাকা হরতালে মহাসড়কে তান্ডবের ঘটনায় মাওলানা ফেরদাউসুর বলেন, সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চিটাগাং রোড, সানারপাড়, সাইনবোর্ড এলাকায় যারা পিকেটিংয়ের দায়িত্বে ছিল তাদের সাথে কিন্তু আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।
আমি নিজে একটা থেকে সোয়া একটায় সাইনবোর্ড, সানারপাড়, চিটাগাং রোড এলাকায় গিয়েছিলাম। হঠাৎ করে অনুপ্রবেশকারী ছাত্রলীগ, যুবলীগ পুলিশের সাথে তর্কবিতর্ক, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, অগ্নিসংযোগ করে। আমাদের হরতালের সময় শেষ হয় সন্ধ্যায়, কিন্তু তখনই অগ্নিসংযোগ বেশি হয়েছে। তিনি আরো জানান, হরতালের সময় রাস্তায় হেলমেড পরা এরা কারা ?। সরকার দলীয় লোক। আমাদের কোন লোকজনতো হেলমেড পরেনি।
তবে পুলিশ ও দায়িত্বরত সংবাদকর্মীদের ভাষ্যমতে, রোববার ভোর থেকে সারাদিনই অগ্নিসংযোগ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, সংবাদকর্মীদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর চলে। তাহলে এটা কারা করলো, এমন প্রশ্নের জবাবে হেফাজত নেতা বলেন, তাদের পিকেটাররা সর্বোচ্চ সাড়ে বারোটা পর্যন্ত ছিল। পৌনে ১টায় একটা নামাজের জামাত হয়েছিল সেখানে। পরিস্থিতি খারাপ দেখার পরে জামাতের পরে আনুষ্ঠানিকভাবে সেখান থেকে চলে আসেন। জোহর পর্যন্ত পিকেটিং করার কথা ছিল তাদের। এরপর থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তারা চেনেন না। বাকি ঘটনা তারাই ঘটিযয়েছে বলে দাবি মাওলানা ফেরদাউসের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন