লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা ও চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রচারণা জমজমাট হয়ে উঠেছে। নৌকার প্রার্থীদের চেয়ে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রচারণায় ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
চরপোড়াগাছা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী
কামাল পাশার আনারস মার্কার পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন এলাকাবাসী।অবহেলিত চরপোড়াগাছা ইউনিয়নকে একটি আধুনিক ও সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করার জন্য কামাল পাশা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পথসভা-মতবিনিময় সভাসহ এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডের জনগনের সাথে উঠান বৈঠক ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে নিয়মিত গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আমিন হাওলাদারকে সুযোগ সন্ধানী হিসেবে উল্লেখ করে আওয়ামীলীগের প্রবীণ এই নেতা বলেন, যখন যেই দল ক্ষমতায় আসে, তখন তিনি সেই দলের নেতা বনে যান।তিনি কখনই বিরোধী দলে থাকতে চায়না।বিএনপির আমলে তিনি আশরাফ উদ্দীন নিজানের একান্ত লোক ছিলেন।পরে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মেজর (অবঃ) আব্দুল মান্নানের দলে যোগ দিয়ে কুলা মার্কার ভোট করেন।এরপর তিনি আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের একান্ত লোক হন। এখন আবার লক্ষ লক্ষ টাকা খরছ করে নৌকার টিকেট এনে তিনি চরপোড়াগাছা ইউনিয়ন ব্যাপী ভোটারদেরকে নানা হুমকি ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে একটা ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে রাখেন বলে অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল পাশা।বিগত দুই সেশন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেগিয়ে সরকারী সকল বরাদ্দ লোটপাট করে জনগনের জন্য আসা সকল বাজেট আত্মসাৎ করে কোটি কোট টাকা এখন নির্বাচনী কাজে ব্যায় করছেন।একজন বসন্তের কোকিলের আগমন আর কালোটাকার ছড়াছড়ি আমিন চেয়ারম্যানের একমাত্র পুঁজি। তার পক্ষে কোন জনসমর্থন নেই।চরপোড়াগাছা ইউনিয়নে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি উল্লেখ করে আনারস মার্কার এই প্রার্থী বলেন,এলাকার রাস্তাঘাট পোল কালভার্টের অবস্থা খুবই শোচনীয়।গরিব দুঃখী অসহায় মানুষের কোন উপকারে আসেনি এই দল পাল্টানো চেয়ারম্যান।
তাই জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি।জনগনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের মাটি ও মানুষের নেতা কামাল পাশা তার ব্যক্তি ইমেজকে কাজে লাগিয়ে আসন্ন চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের উন্নয়নকে তরান্বিত করতে ভোটাররা তাকে সমর্থন জানিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও এলাকার সাধারন নারী পুরুষ সহ সর্বস্তরের ভোটাররাও তার গণসংযোগে অংশ নেয়।এলাকার সাধারন মানুষরা জানান,কামাল পাশা একজন ত্যাগী ও সৎ আদর্শবান নেতা। তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে জনগণের জন্য সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে নেতৃত্ব দিয়ে জনগনের মনে স্থান করে নিয়েছেন। জনগণের সুখে দুঃখে সর্বপ্রথম এগিয়ে আসা এই নেতার জন্য চরপোড়াগাছার সর্বস্তরের জনগণক কোমর বেঁধে এবার মাঠে নেমেছেন।তবে নৌকার প্রার্থী আমিন চেয়ারম্যান ভোটারদেরকে নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করলেও কামাল পাশার আনারস মার্কার কর্মী সমর্থকরা মাঠে সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত চরপোড়াগাছা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনগনের সমর্থন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হবে বলে আশাবাদী তার ভোটাররা। তারা আরো জানান কামাল পাশা সাধারন মানুষের যে কোন সময়,যে কোন বিপদে সাধারন মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। তিনি যে কোন মানুষের সমস্যার কথা শুনলে সহযোগীতার হাত বাড়াতে ছুটে আসেন।এলাকার মসজিদ মাদরাসা স্কুল কলেজ সহ সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তার সার্বিক সহযোগীতা এলাকার মানুষ তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করেন।এবিষয় জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল পাশা বলেন,নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন চেয়েছি।আমার টাকা নেই, তাই দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি।তবে আমি আমার জনগনের সাথেই আছি,আর জনগন আমার সাথেই আছে।সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য আমাদের রামগতির পুলিশ প্রশাসন বদ্ধপরিকর। তাই আমি শতভাগ আশাবাদী চরপোড়াগাছায় এবার অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আর আমি জনগনের রায় নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবো ইনশাআল্লাহ।
চরবাদাম ইউনিয়নঃ
অন্যদিকে উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোসলেহ উদ্দীনের মটর সাইকেল মার্কা জনসমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন।মটরসাইকেল মার্কার গণসংযোগ উঠান বৈঠক ও পথ সভায় ভোটারদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো।চেয়ারম্যান প্রার্থী মোসলেহ উদ্দীনের দীর্ঘ রাজনৈতিক বর্ণাট্য জিবনে ছাত্রলীগ থেক শুরু করে চরবাদাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে প্রায় ১২ বছর যাবত ঐতিহ্যবাহী দলটির নেতৃত্ব দিয়ে চরবাদাম ইউনিয়নের তৃণমূল পর্যায়ে জনগনের আস্থার প্রতিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন।
চরবাদাম ইউনিয়নের নারী পুরুষ সহ সর্বস্তরের জনগণের সুখে দুঃখে সর্বপ্রথম যিনি এগিয়ে আসেন,তিনি হলেন মোসলেহ উদ্দীন।চরবাদাম ইউনিয়নের একজন অভিভাবক হিসেবে ছোটবেলা থেকেই জনগনের প্রতি তার মায়া মমতা একটু বেশী।এলাকার জনগনও মোসলেহ উদ্দীন কে তাদের একমাত্র অভিভাবক হিসেবে যেই কোন সমস্যায় তার নিকট ছুটে আসেন।
তবে ভোটাররা আতংকিত,অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কিনা?নৌকার প্রার্থীর লোকজন প্রতিনিয়ত ভোটারদেরকে নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন-হুমকি ধমকি দিয়ে নির্বাচনী মাঠ উত্তপ্ত করে আসছে।একজন জনপ্রিয় নেতা হিসেবে চরবাদামের সর্বসাধারণ ইতিমধ্যে মটরসাইকেলের পক্ষে মাঠে নেমে পড়েন। তার গণসংযোগে হাজার-হাজার জনতার ঢল নামে।পাড়া মহল্লায় ওয়ার্ডে -ওয়ার্ডে গণসংযোগ-সভা পথসভায় ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিত লক্ষ্য করা গেছে।তবে নৌকার প্রার্থী সাখাওত হোসেন জসিমের কর্মী সমর্থকরা নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে একটা ভীতিকর অবস্থা তৈরী করে রেখেছেন। এলাকাবাসী জানান,মটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থী মোসলেহ উদ্দীন একজন ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতা।দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চরবাদাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে একজন মজিব আদর্শের সৈনিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। কিন্তু একজন বসন্তের কোকিলের আগমন ও পরবর্তী অবৈধ কালো টাকার নিকট হেরে গেলেও চরবাদামের সাধারণ মানুষের নিকট হেরে যাননি তিনি। সাধারণ মানুষের অনুরোধে প্রার্থী হন মোসলেহ উদ্দীন। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জনগন মোসলেহ উদ্দীনের মটর সাইকেল মার্কার বিজয় সুনিশ্চিত বলে জানান ভোটাররা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন