কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভার আড়িয়াল খাঁ নদীর তীর সংলগ্ন বধ্যভূমিতে স্থাপতি স্মৃতিস্তম্ভে নাম নেই একাত্তরের গণহত্যার শিকার অনেক শহীদের। এতে তরুণ প্রজন্ম গণহত্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারছে না। তাই স্থানীয় জনগণ, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের লোকজন বাদ পড়া নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদন করে আসছে।
১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী পৌরসভাধীন বিভিন্ন গ্রামের যাদের নির্মমভাবে হত্যা করেছেন, তাদের মধ্যে মাত্র ৭ জনের নাম স্মৃতিস্তম্ভে লেখা হয়েছে। বাদ পড়েছেন অনেকে। তারা হলেন- বিদ্যাসুন্দর দাস ও তার ছেলে সঞ্জিত দাস, সুরেশ চন্দ্র নাথ, অশ্বিনী মিস্ত্রী, মিহির লাল রায়, ক্ষেত্রমোহন ঘোষ ও বিনোদ রায়। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আনুষ্ঠানিক কোন স্বীকৃতি না পাওয়াই ও বধ্যভূমিতে নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়াই শহীদ পরিবারের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শহীদ বিদ্যাসুন্দর দাসের ছেলে দিলীপ কুমার দাস (৬৮) বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে বাবা ও ছোট ভাইকে পাকহানাদার বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাসী সরকার ক্ষমতায় আছে। তাই স্বীকৃতি স্বরূপ সরকারের কাছে স্মৃতিস্তম্ভে বাদ পড়া শহীদের নাম অন্তর্ভুক্তের আবেদন করছি।
সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কামান্ডার তুলসী কান্তি রাউত বলেন, বাদ পড়া শহীদের নাম স্মৃতিস্তম্ভে লেখার জন্য বেশ কয়েকবার উপজেলা প্রশাসনকে বলেছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাদ পড়া শহীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত, এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন