হঠাৎ জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এতে রবি ফসল সয়াবিন-বাদাম ও মরিচের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা এলাকাবাসীর। আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবে প্রবল বাতাস বয়ে যাচ্ছে এসব এলাকায়।
মেঘনায় উত্তালের ফলে জোয়ারের পানিতে রামগতির উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রবল বাতাসের ঢেউয়ের আঘাতে নদীতে ভাঙনও বেড়েছে। এভাবে প্রতিদিন জোয়ারের পানি বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বেঁড়িবাধের উপর সুইস গেইটটির তালা ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকে শত শত পরিবার এখন পনিবন্দি রয়েছে। বেশ কয়েকটি পুকুর ডুবে মাছ চলে গেছে নদীতে। সুইস গেইটটি অতিদ্রুত সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর। এদিকে জোয়ারের প্রভাবে নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন রামগতি উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাহিদ হোসেন। এ সময় সাথে ছিলেন চরআলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটন চৌধুরী।
হঠাৎ সুইস গেইটের তালা ভেঙে অস্বাভাবিকভাবে জোয়ারের পানি বেড়ে গিয়ে প্লাবিত হয় রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী শত শত মানুষের ঘরবাড়ি। ভেসে যায় মৎস্য ঘের। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তা-ঘাট, বাজার, স্কুল-কলেজ, মাদরাসাসহ আরো গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা। চরগাজী ইউপি চেয়ারম্যান তাওহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, তালা ভেঙে পানি প্রবেশ করে মানুষের ফসলের কিছু ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছি। রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মোমিন বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু ত্রাণসামগ্রী পাঠাবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন