রগুনার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে আষাঢ়ী পূর্ণিমার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বালিয়াতলী ৩াট স্থানে ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বেশ কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে গেছে। উপজেলার আরো কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বীজতলা পানিতে পচে শতশত কৃষকের আমন চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আষাঢ়ী পূর্ণিমার প্রভাবে সমুদ্র উপকূলীয় আমতলী উপজেলার পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বালিয়াতলীর পানি উন্নয়ন বোর্ডেও সেরাজাল বয়াতী, আ ঃরব ডাক্তার বাড়ি ও মোনসের মীর বাড়ির নিকটে এই ৩টি স্থানে প্রায় শত শত ফুট ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ঘোপখালী, উত্তর ঘোপখালী, দক্ষিণ ঘোপখালী, মধ্য ঘোপখালী ৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং পশ্চিম আমতলী, ফেরীঘাট, পুরাতন লঞ্চঘাট, , পানি উন্নয়ন বোর্ড, আঙ্গুলকাটা, গুলিশাখালী ও হরিদ্রবাড়িয়াসহ বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ সকল এলাকার এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে বসবাসরত মানুষের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বীজতলা পানিতে পচে গেছে। কৃষকরা নতুন করে আমন ধানের বীজতলা তৈরি করতে পারছে না। ফলে শতশত কৃষকের আমন চাষ প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মশিউর রহমান জানান, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এলাকাবাসী গাজী তৈয়বুর রহমান জানান, ৪টি গ্রামে কয়েকশত পুকুরের মাছ এবং আমার মাছ চাষের ঘের থেকে প্রায় ১০/১২ লাখ টাকার বিভিন্ন জাতের মাছ ভেসে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন