রোববার রাত থেকে টানা বৃষ্টি এবং নিম্নচাপ ও অমবশ্যার অস্বাভাবিক জোয়ারে সুন্দরবনের করমজল, দুবলারচরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে প্রায়ই টানা বৃষ্টিতে সুন্দরবনের নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হচ্ছে। বনভূমি প্লাবিত হলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে স্থলচর প্রাণীরা। এ সকল প্রাণীর মধ্যে রয়েছে হরিণ, বাঘ, শুকর, বানর, শজারু, শেয়াল প্রভৃতি। পানিতে ডুবে অনেক প্রাণীর মৃত্যু ঘটে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারী বৃষ্টিতে সুন্দরবনের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। তবে এ পানি দীর্ঘস্থায়ী হয় না। দু একদিনের মধ্যে নেমে যায়। এ সময় প্রাণীরা বনের গভীরে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলে যায়। সম্প্রতি বনবিভাগ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে বনের অভ্যন্তরে প্রাণীদের জন্য উঁচু কিল্লা বা আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করা।
বনজীবী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠতে শুরু করে। পশুর নদী সহ সুন্দরবন সংলগ্ন নদীগুলোতে পানির উচ্চতা ৩ থেকে ৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। টানা বৃষ্টি এবং অমাবশ্যায় অতি জোয়ারে পানি বেড়েছে বলে তারা জানান।
প্রসঙ্গত, গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের নিম্নচাপের প্রভাবে কয়েকদিনের বৃষ্টিতেও সুন্দরবন প্লাবিত হয়েছিল। বনের অভ্যন্তরে অনেকগুলো নদী ও খাল পলি জমে শুকিয়ে যাওয়ার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বনজীবিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন