শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

শাহজালাল বিমানবন্দরে ট্রলিতে কাঁদছিল শিশুটি!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ট্রলির মধ্যে শিশুটি কাঁদছিল। বয়স মাত্র আট মাস। মুখে ফিডার, অথচ মায়ের খোঁজ মিলছে না। গতকাল সকালে এই দৃশ্য দেখে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ (এপিবিএন) শিশুটিকে উদ্ধার করে। পরে বিকেল পর্যন্ত মায়ের সন্ধান না পেয়ে শিশুটিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) জানায়, ওই শিশুটির মা সৌদি আরবে থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাতে সৌদি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে ওই শিশুকে নিয়ে তার মা শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান। সারা রাত শিশুটির মা অ্যারাইভাল বেল্টের পাশে শিশুটিকে নিয়ে বসেছিলেন। কিন্তু গতকাল সকাল থেকে মাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে শিশুটিকে কাঁদতে দেখে উদ্ধার করা হয়।
গতকাল বিকেলে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, সকাল ৮টার দিকে বিমানবন্দরের বেল্ট এরিয়ায় একটি ট্রলির মধ্যে শিশুটিকে কাঁদতে দেখেন এপিবিএন এর এক সদস্য। পরে সিসিটিভি ভিডিও পরীক্ষা করে দেখা যায়, রাতে সৌদি আরব থেকে আসা এক নারী সকালে শিশুটিকে সেখানে ফেলে রেখে যান।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে সৌদি আরব থেকে ঢাকায় পৌঁছান ওই নারী। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৫ নম্বর লাগেজ বেল্টের সামনে শিশুটিকে নিয়ে অবস্থান অবস্থান করছিলেন তিনি। সকাল পর্যন্ত সেখানে থাকার পর ৮টার দিকে শিশুটিকে ট্রলিতে রেখে নিজের লাগেজ নিয়ে তিনি বেরিয়ে যান।
একই ফ্লাইটে ওই নারীর সঙ্গে আসা আসমা নামে আরেক যাত্রীর বরাত দিয়ে আলমগীর হোসেন বলেন, শিশুটির মা সৌদি আরবে কাজের জন্য গিয়েছিলেন। সেখানে একজনকে তিনি বিয়ে করেন। কিন্তু তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। তাদের ঘরেই মেয়েটির জন্ম। এখন মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাবেন সেই দুশ্চিন্তায় বিমানে কয়েকবার কান্নাকাটিও করেছেন বলে আসমা পুলিশকে জানিয়েছেন।
আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশের এক নারী সদস্য শিশুটিকে মেস থেকে দুধ খাওয়ান এবং দেখভাল করেন। শিশুটি এখন ভালো আছে। তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এপিবিএনের এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা শিশুটির মাকে খুঁজছি। ভিডিও ফুটেজ দেখা হচ্ছে। এখন শিশুটিকে আমরা সেভাবে রেখেছি, যেভাবে রাখলে সে ভালো থাকবে।
এপিবিএনের আরেকটি সূত্র ধারণা করে বলছে, প্রবাসী ওই নারী সৌদি আরবে থাকাকালীন অপর এক প্রবাসীকে বিয়ে করেন। কিন্তু, শিশুটির জন্মের পর স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে কিংবা তার স্বামী হয়তো এই সন্তানকে অস্বীকার করেছে। ফলে লোকলজ্জার ভয়ে শিশুটিকে এখানে ফেলে রেখে গেছেন ওই নারী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Harunur Rashid ৩ এপ্রিল, ২০২১, ১:৩০ এএম says : 0
Very sad. What have we become? Allah have mercy on this little girl.
Total Reply(0)
।।শওকত আকবর।। ৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৩১ পিএম says : 0
আপনারা শিশুটির মাকে খুঁজে বেড় করে তার কাছে হস্হান্তর করুন।সামাজিক দ্বায়িত্ববোধ থেকে অন্তত এ ব্যাবস্থ নিন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন