সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

শুষ্ক মৌসুমেই যমুনার তীর রক্ষা বাঁধে ধস

সৈয়দ শামীম শিরাজী, সিরাজগঞ্জ থেকে : | প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

শুষ্ক খরা মৌসুমেও সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। নদীতে বিশার চর জেগে উঠায় গতিপথ পরিবর্তন করে শুষ্ক মৌসুমেও কাশীপুর গ্রামে আঘাত হানছে। সৃষ্টি হচ্ছে বড় বড় গর্তের। সময় থঠতেই এই মুহুর্তে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে বন্যা মৌসুমে নিশ্চিত দুর্যোগ নেমে আসবে। এ ঘটনায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, ১১৫ কোটি টাকায় ব্যয়ে নির্মিত সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদী তীর রক্ষা বাঁধের একাধিক স্থানে সিসি বøক ধসে তৈরি হচ্ছে গভীর খাদ। এখনই এর প্রতিকারের ব্যবস্থা না নিলে বর্ষা মৌসুমে তীর রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিবে এমন দাবি যমুনা পাড়ের মানুষের। স্থানীয়রা জানান, এই মুহুর্তে জিও ব্যাগ/বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানো যেতে পারে। এ জন্য তারা পাবনার পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৈইটোলা নির্মাণ বিভাগের কাছে বিষয়টি জানিয়েছে।
এদিকে সরজমিনে দেখা গেছে, কিছুদিন ধরেই বাঁধটির উপজেলার গালা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের একাধিক স্থানে হঠাৎ করেই সিসি বøক দেবে গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছে। এসব স্থানের পানির গভীরতা প্রায় ৪০-৪৫ ফুট। জানা গেছে গ্রামটির পূর্বপাশে যমুনা নদীর বুক জুড়ে বিশাল চর জেগে উঠায় যমুনা নদী প্রবাহ গতিপথ পরিবর্তন হয়ে শুষ্ক মৌসুমে কাশিপুর গ্রামের আঘাত হানছে। ফলে কাশিপুর গ্রাম সংলগ্ন যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের যে স্থান গুলোতে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সেখানে যমুনার পানি বৃদ্ধির সাথে ভাঙনের কবলে পড়বে। ফলে কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশিপুরের পুরাতন জামে মসজিদ, বিশাল কবরস্থান বিলিন হয়ে যেতে পারেন। এছাড়া শত বছরের প্রাচীন জনপথ কাশিপুর গ্রামটি এখন হুমকির সম্মুখিন। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হবে পাশের গর্জোনা, হাড়িয়াকান্দা, গালা ও মারজান গ্রামটিও।
ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য খোদাবক্স আহম্মেদের ছেলে বদিউজ্জামান, জামিরতা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আবুল কালাম ও সাবেক আর এক ইউপি সদস্য সোলায়মান হোসেন জানান, তাদের এলাকার যমুনা তীর রক্ষা বাঁধে অনেক স্থানে সিসি বøকসহ দেবে যাচ্ছে। তারা জানান, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকের এক বিকেলে হঠাৎ করে ঘূর্ণিবর্তে দেবে যায় যমুনার তীর রক্ষা বাঁধ। আমরা সবাই যমুনা নদীর এমন আচরণ দেখে সবাই ভয় পেয়ে যাই। এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ যমুনার তীর ঘেসে শ্যালো মেশিন দিয়ে বালু তোলায় সিসি বøকের নিচ থেকে বালু ও জিও ব্যাগ সরে গিয়ে বাঁধের বিাভন্ন অংশ হঠাৎ করে দেবে গভীর খাদের সৃষ্টি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনা কৈটোলা নির্মান বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আব্দুল হামিদ জানান, যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের সে সকল সাথে ধ্বস দেখা দিয়েছে বর্ষার আগে সে স্থান গুলো জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডর অপর একটি সুত্র জানায় যারা যমুনা তীরবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে বালু কাটছে তাদের চিহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে । সেই সাথে সময় থাকতেই বাধ ভাংগন রোধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে এলাকাবাসী সোচ্চার দাবি জানিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন