চলমান লকডাউনের কারণে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে এখনো সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করছে। তবে, মাত্র দুটি ছোট ফেরি দিয়ে জরুরি যানবাহন পার করার কথা থাকলেও পারাপার করা হচ্ছে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারও। কোনো প্রকার সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই গাদাগাদি করে পার হচ্ছেন তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নদীর ওপার মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে আশা ফেরি ভাষা শহীদ বরকত পল্টুনে ভেরার সাথে সাথে হুমরি খেয়ে অন্তত এক শত মোটরসাইকেল ও অন্তত তিন শত যাত্রী হুরোহুরি করে নামছেন।
এদের অনেকের মুখেই আবার নেই মাস্ক। এদিকে, ফেরি চলাচল সীমিত থাকার কারণে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে ৩ কি.মি. পর্যন্ত পারের অপেক্ষায় আটকে পরে পণ্যবাহী ট্রাক ও প্রাইভেটকারসহ অন্তত ৩শ’ যানবাহন। ঘাট এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাঝে মধ্যে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হলেও কেউ শুনছেন না কারো কথা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মানুষ যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে, মাস্ক পরে সে জন্য সচেতনতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে।
বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। আর ফেরি চালানো নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. খোরশেদ আলম জানান, লকডাউন বাস্তবায়ন করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফেরি চলাচল সীমিত করা হয়েছে। তবে, জরুরি অ্যাম্বুলেন্স পার করার জন্য দুটি ফেরি চলাচল করছে। আর আটকে থাকা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে রাতের বেলায় পারাপার করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন