ফেনীতে বিএনপির ৪ নেতার বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবাদে আজ বিকালে শহরের ইসলামপুর রোডস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে জেলা বিএনপি এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার,সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল,যুগ্ম আহবায়ক এম এ খালেক,এয়াকুব নবী,আলাউদ্দিন গঠন,আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, সদস্য এডভোকেট পার্থ পাল মজুমদার,সাইফুর রহমান রতন, বেলায়েত হোসেন বাবলু, নুর হোসেন সেলিম ও জয়নাল আবদিন বাবলু,পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মেজবাহ উদ্দিন প্রমুখ।
লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার জেলা গোয়েন্দা শাখার এস আই আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় ফেনী পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জনৈক এমরান হোসেন ইমরান তার ফেসবুক আইডিতে রাষ্ট্রবিরোধী, কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দেয়ায় এমরানুল হক ইমরানকে ১নং আসামী করা হয় এবং তাকে ছাত্রদলের নেতা হিসেবে প্রচার করা হয়। তারই জের ধরে ঐ মামলায় ত্যাগী ও কারা নির্যাতিত নেতা জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক গাজী হাবিব উল্লাহ মানিক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহ উদ্দিন মামুন, যুগ্ম-সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলাল ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দোলনকে আসামী করা হয়েছে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট ও বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করেন, খোঁজ নিয়ে জানা যায় জনৈক ইমরান জেলা ছাত্রদলের কেউ না, সে কোন সংগঠন বা ইউনিট কমিটিতে তার নাম নেই। আসলে এটা একটা রাজনৈতিক হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা। জেলা বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার গভীর ষড়যন্ত্র এটি। সন্ত্রাস,লুটপাট,দখল,গুম, অপহরণ,মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা এটি বর্তমান সরকারের স্বভাবগত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি যে অবিলম্বে ফেনী বিএনপির ৪ জনপ্রিয় নেতার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হোক।
উল্লেখ, গত বুধবার ফেসবুকে সরকার বিরোধী ও করুচিপূর্ণ বিভিন্ন পোস্ট দেয়ায় এমরানুল হক ইমরানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন বৃহস্পতিবার ফেনী গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ৫ জনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলা নং-৪৯,তারিখ-২২.০৪.২০২১ইং। মামলায় এমরান ছাড়াও জেলা বিএনপির ৪ নেতা গাজী হাবিব উল্লাহ মানিক,মামুন,দোলন ও দুলালকে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ এজাহারে উল্লেখ করেন, গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান জানায় বিএনপির উল্লেখিত ৪ নেতার নির্দেশে গত তিন চার মাস যাবত সরকার ও সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে ফেসবুকে একের পর এক পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষন্ন করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় এমরানকে প্রধান আসামী করে বাকীদের মামলায় সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন