মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘীরপাড় এর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আগ্রসী পদ্মায় আবারও অসময়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে ।এতে রাতের আধারে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, বসত বাড়ি, রাস্তাঘাট ও মসজিদ মাদ্রাসা। কোন ভাবেই যেন ভাঙন থামছে না। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ভাঙন রোধে ফেলা হয়েছিল জিও ব্যাগ। এখন সে ব্যাগও গিলে খাচ্ছে রাক্ষুসী পদ্মা। উপজেলার দিঘিরপাড় পদ্মার পাড়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়- মুলচর, শরিষা বন, হাইয়ারপাড়, কান্দারবাড়ি এলাকা নদীতে বিলীন হয়েযাচ্ছে। এতে শতশত পরিবার দিশেহাড়া হয়ে পড়েছে। ¯হানীয়রা জানান- এখন আমাদের রাতে ঘুম আসেনা পরিবার নিয়ে আতঙ্কে থাকি, কখন জানি পদ্মায় আমগো ঘরবাড়ি গিলে খায়। আমগো দেহার কেউ নাই। দিনদিন ভাঙন আরও বাড়তাছে। আমগো ফসলি জমি পদ্মায় বিলীন হয়েযাচ্ছে। কিছুদিন আগে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতু প্রশাসনের পাশাপাশি তার নীজ অর্থায়নে নদী ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলেছেন। তা আবার পদ্মায় গিলে খাচ্ছে। আমার জমিটুকু রক্ষা করতে না পারলে ছেলে পেলে নিয়ে না খাইয়া মরুম।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতু জানান- দীর্ঘ মেয়াদী বেড়িবাঁধ নির্মান না করলে ভাঙন রোধ করা যাবেনা। বর্ষাকালে ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। কিন্তু সে ব্যাগ গুলোও আবার বিলীন হয়েযাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন জানান- ভাঙন এলাকায় সরকারের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। নদী ভাঙন এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রস্তাব দেয়া আছে। প্রস্তাব পাশ হলে নদী ভাঙন রোধে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন