দীর্ঘ খরার পর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। ঠিক বেলা ১১ টায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়। এর আগে সোমবার গভীর রাতে মেঘের গর্জনের সাথে বৃষ্টিপাত হয়েছে। তেমন বৃষ্টি না হলেও ধুলো বালির অবসান হয়েছে। তীব্র গরমের অনেকটা অবসান হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খরার কারণে মাঠ,ঘাট ফেঁটে চৌচির হয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট। সবচেয়ে বেশী ক্ষতির শিকার হয়েছে, গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষীরা। বৃষ্টি ব্যতীত বিকল্প পানির ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন প্রকার সবজি রোদে পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। কোন কৃষকই এ বছর কাঙ্ক্ষিত সবজি ফলাতে পারেনি। হঠাৎ বৃষ্টিপাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ। কলাপাড়ায় ১৩ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়ে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে।
পৌর শহরের বাসিন্দা মুরাদ তালুকদার বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও বৃষ্টিতে স্বস্তি পেয়েছে মানুষ। এই বৃষ্টি হওয়ায় গরমের তীব্রতা কমে গেছে। এর ফলে রোজাদার কিছুটা হলেও উপশম হয়েছে।
নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামের কৃষক ইউনুস খাঁ বলেন, বৃষ্টি না থাকায় এবছর চরম ক্ষতির শিকার হয়েছেন তিনি। ঢেড়শ, পুই শাক, করলা, চিচিংগা সহ বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষাবাদে যে টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে তার অর্ধেক টাকাও বিক্রিতে উঠবে না বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মন্নান বলেন, এ বৃষ্টি বোরো সংগ্রহে কিছুটা সমস্যা হলেও খরার মৌসুমে ফসল চাষে কৃষকের বেশ উপকার হবে। এছাড়া গবাদিপশুর খাদ্য উৎপাদন বাড়বে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন