নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লাইটার জাহাজ 'রুপসী-৯' এর আকস্মিক ধাক্কায় 'এমএল আশ্রাফ উদ্দিন' যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবিতে নিহত ওই লঞ্চের যাত্রী মোসাঃ আলেয়া বেগম (৪০) ও তার মেয়ে মোসাঃ ফাতিমা আক্তার (৭) এর মৃত দেহ মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর ছৈলাবুনিয়া গ্রামের ভাজনা কদমতলা গ্রামের নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। মির্জাগঞ্জের মোঃ ইউনুস খলিফার স্ত্রী নিহত আলেয়া বেগম ছয় সন্তানের জননী এবং এবং মেয়ে ফাতিমা মুন্সীগঞ্জের একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত মা-মেয়ে কয়েক বছর যাবৎ মুন্সীগঞ্জের দয়াল বাজারের সরকার পাড়া এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করত। নিহতের স্বামী ইউনুস খলিফা ওই এলাকায় কাঠমিস্ত্রির কাজ করে। গত রবিবার দুপুর বারোটার দিকে মা-মেয়ে গ্রামের বাড়ি মির্জাগঞ্জে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভুলক্রমে মুন্সিগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জগামী লঞ্চে উঠে। পরে আবার দুপুর ২টায় নারায়ণগঞ্জ একটি লঞ্চে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর সামনে যাওয়ার পর লঞ্চটি ডুবে যায়। পরে রাত আটটায় নারায়ণগঞ্জ নৌ থানা থেকে তাঁর স্বামী ইউনুস খলিফা কে ফোন করে তাদের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। তিনি সেখানে গিয়ে তার স্ত্রী ও মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন। পরে তাদের মরদেহ নিহত আলেয়া বেগমের বাবার বাড়ি মির্জাগঞ্জ উপজেলার ভাজনা কদমতলা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আজ সোমবার সকাল ১০ টায় জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন