বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদিগন্ত

ঢাকার সমস্যা ও করণীয়

প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সরদার সিরাজ
ঢাকা শহরের ঐতিহ্য চারশত বছরের অধিক। আগে ছিল পৌরসভা, পরে তা সিটি কর্পোরেশনে পরিণত করা হয়। এখানে বর্তমানে লোকসংখ্যা দেড় কোটি থেকে প্রায় দুই কোটি। দেশের ধনী, মধ্যবিত্ত ও উচ্চ শিক্ষিত লোকের বেশির ভাগের বাস এখানে। গরিব মানুষের সংখ্যাও অনেক। বিবিএস সূত্রে প্রকাশ, ‘দেশে যত গরিব মানুষ আছে, তার এক-তৃতীয়াংশ বাস করে ঢাকায়। গরিব মানুষের সংখ্যা যেহেতু বেশি, তাই বস্তির সংখ্যা সর্বাধিক। উপরন্তু প্রতিদিনই মানুষ কাজের আশায় ঢাকায় আসছে। অপরদিকে দেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের প্রধান অফিস এখানে। শিক্ষাঙ্গনও বেশি। দিনে দিনে এসব বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে কলেবর, স্থাপনা ও যানবাহন বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বাড়েনি সৌন্দর্য ও পরিচ্ছন্নতা।
আবর্জনার স্তূপ সর্বত্রই। রাস্তাঘাটের পরিমাণও খুব কম। প্রয়োজনের প্রায় অর্ধেক। তারও অধিকাংশই ভাঙাচোরা। আবাসন, শিক্ষাঙ্গন ও বিনোদনের সংকট প্রকট। খেলাধুলার স্থান প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। বেশ কয়েকটি পার্ক আছে। সেগুলো যানবাহন, মাদকসেবি আর বখাটে লোকে ভরপুর। তাই সাধারণ লোক তেমন যায় না সেখানে। পানি, বিদ্যুৎ পয়ঃনিষ্কাশনের সংকট তীব্রতর। জলাবদ্ধতা, রাস্তা দখল, অপরিকল্পিত ও জরাজীর্ণ বাড়িঘর, ব্যাপক চাঁদাবাজি নিরাপত্তাহীনতা, ভয়াবহ যানজট ইত্যাদি বিদ্যমান। তাই এখন বসবাসের অনুপযোগীর দিক দিয়ে বিশ্বের ১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৩৭তম। বায়ু দূষণের দিক দিয়েও ঢাকা প্রথম। কিন্তু কেন? সব দলের নেতা-নেত্রী, এমপি, মেয়র, মন্ত্রী-আমলারা তথা নামিদামি সকলেই তিলোত্তমা ঢাকা গড়ার কথা বলেন অহরহ। আর নির্বাচন এলে তো কথাই নেই। সকলেই বিশ্বের সেরা শহরে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
ঢাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য প্রধানত দায়ী সিস্টেম। মেয়র-কাউন্সিলরদের কাছে সুন্দর ঢাকা গড়ে তোলার প্রত্যাশা ঢাকাবাসীর। কিন্তু তাদের এখতিয়ার নগণ্য তাই মেয়রদের ভালো কিছু করার প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তা করতে পারে না। ঢাকার দুর্গতি লাগব করার জন্য সাবেক মেয়ররা ‘সিটি গভর্নমেন্ট’ করার দাবি করেছিলেন অসংখ্যবার। দেশের সংবিধানেও স্থানীয় সরকারকে পূর্ণ স্বাধীন, শক্তিশালী ও সব কাজের নিয়ন্ত্রক করার বিধান আছে। সরকারগুলোও তা বাস্তবায়ন করার জন্য বহুবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু কোনো সরকারই তা করেনি। ক্ষমতা খর্ব হয়ে যাওয়ার কারণে।
বর্তমানে মেয়রগণ তিলোত্তমা ঢাকা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েই কাজ করছেন। অবশ্য এটা করার দায়িত্ব সেবা ও প্রশাসন খাতের দফতর/মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু ‘ক্লিন ঢাকা’ করার সম্পূর্ণ এখতিয়ার ডিসিসির। যার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ মেয়র ও কাউন্সিলররা। তাই এ বিষয়ের সাফল্যের ওপরই তাদের সাফল্য নির্ভরশীল। এ ছাড়া সরকারকে অনুরোধ করে যদি যানজট, জলাবদ্ধতা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বন্ধ এবং পানি, বিদ্যুৎ ইত্যাদির সংকট দূর ও রাস্তার উন্নতি করতে পারেন তাহলে বাড়তি সাফল্য পাবেন। সে সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে এবার। কারণ সরকার ও মেয়রগণ একই দলের, একই আদর্শের। তাই ইতোমধ্যেই ঢাকার সংকট দূর করার জন্য সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে একটি ‘টাক্সফোর্স’ গঠন এবং তার প্রধান হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। এর কার্যক্রমও শুরু হয়ে গেছে। মেয়র আনিসুল হকের সভাপতিত্বে ২৬টি সংস্থার প্রধানদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয় গত ২৪ আগস্ট। সভায় বেশ কয়েকটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
যা হোক ঢাকার যেখানেই যাবেন সেখানেই দেখতে পাবেন আবর্জনার স্তূপ। আবর্জনা রাখার কনটেইনারগুলোর অবস্থাও করুণ। অনেক ক্ষেত্রে ব্যস্ততম রাস্তার মাঝখানেই বসানো হয়েছে। কিন্তু আবর্জনা রাখা হয় কনটেইনারের ভেতরের চেয়ে বাইরেই বেশি। সেগুলো সরানো হয় না সহসায়। ফলে আবর্জনাগুলো রাস্তাজুড়েই পড়ে থাকে। এসব পচে-গলে রস নিংড়ে পড়ে সমগ্র রাস্তায়। ফলে সৃষ্টি হয় মহাদুর্গন্ধ। কয়েক দিন পরপর কনটেইনারগুলোর ময়লা নিয়ে ফেলা হয় শহরের যেখানেই ফাঁকা পাওয়া যায় সেখানেই। তাই সৌন্দর্য ও পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। তা থেকে অনবরত নির্গত গন্ধে মানুষের বিভিন্ন জটিল ও স্থায়ী ব্যাধি সৃষ্টি হচ্ছে। মশামাছির বিস্তার ঘটছে ব্যাপক। উপরন্তু এই ময়লার অনেক অংশ ড্রেনের মধ্যে ঢুকে পড়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে দূষিত পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে রাস্তার ওপরই উপচে পড়ছে। সর্বোপরি বৃষ্টি হলেই পানি দ্রুত যেতে না পেরে গোটা শহর অথৈ পানিতে তলিয়ে যায়। তবুও ময়লা ও ড্রেন পরিষ্কার করার কাজটি নিয়মিতভাবে হচ্ছে না। অথচ এসব কাজ নিয়মিত করার বিধান আছে।
বহু বছর পর এবার সুয়ারেজ লাইন বা ড্রেন পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। কিন্তু তার সুফল তেমন পাওয়া যায়নি। কারণ ড্রেনের ভেতরের ময়লা তুলে পাশেই স্তূপ করে রাখা হয়েছিল। ফলে ময়লাগুলো মানুষের পায়ে পায়ে আর যানবাহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে পুনরায় ড্রেনের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। ড্রেন বন্ধ হওয়ার দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে পলিথিনের ব্যাগ, যত্রতত্র গড়ে ওঠা তরকারির দোকানের বর্জ্য ও নির্মাণ সামগ্রী তথা বালি, সিমেন্ট ও ইটের ভগ্নাংশ। এগুলো ড্রেনের মধ্যে ঢুকে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায়। অথচ এগুলো রাস্তার ধারে রাখা নিষিদ্ধ। কিন্তু নিয়ম পালন করেন না কেউই। অপরদিকে প্রতিটি বাসার ময়লা নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বেসরকারি খাতে। এ জন্য তারা প্রতি মাসেই টাকাও নেয়। শর্ত প্রতিদিনই ময়লা নিতে হবে। কিন্তু তারা এই শর্ত পালন করে না। নিয়ে যায় সপ্তাহের দু-একদিন। ফলে প্রতিটি বাসার মধ্যেই আবর্জনার স্তূপ সৃষ্টি হয়ে যায় রাস্তার মতোই। চরম দুর্গন্ধও সৃষ্টি হয়। পুরান ঢাকার অবস্থা আরো খারাপ। উপরন্তু আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ যেটুকু করা হয়, তাও দিনের বেলায়। মানুষ যখন কাজে যায় তখন। ফলে ক্লিনারদের ঝাড়–র বাড়ি খেয়ে আর ময়লা পোশাকে মাখিয়ে কর্মস্থলে যেতে হয়। ময়লা পরিবহনের বড় গাড়িগুলোও ময়লা নিয়ে যায় দিনের বেলায়। তাও আবার রাস্তায় ময়লা ফেলতে ফেলতে অসংখ্য পথচারীর নাকের ডগার ওপর দিয়েই। অথচ আবর্জনা পরিষ্কার করার কথা রাতের বেলায়। বিশ্বের সব দেশেই তাই হয়। এ দেশেও হয়েছে স্বাধীনতার পূর্বে।
স্মরণীয় যে, কিছু দিন আগে সব রাস্তার ধারে ময়লা ফেলার বক্স বসানো হয়েছে। এটা একটা খুবই ভালো উদ্যোগ। সব দেশেই এই ব্যবস্থা আছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে কয়েক দিনের মধ্যেই অনেক বক্স ভেঙেচুরে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বাকিগুলোর বেশির ভাগ বন্ধ করে রেখেছে ক্লিনাররা। যে দু-চারটা খোলা আছে, তা ময়লায় ভর্তি হয়ে থাকে অনেক দিন। কারণ বক্সের ময়লা সরানো হয় না। এ অবস্থায় শুধু ফ্লাইওভার বা ফুটওভারে ফুলের গাছ লাগিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার কাজে কি মানুষ খুশি হবে? না হওয়ারই কথা। তাই শহরের সব আবর্জনাই নিয়মিত পরিষ্কার করা আবশ্যক। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগের টপ টু বটমের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া তা করা সম্ভব নয় বলেই মনে হয়।
অন্য বিভাগের লোকজনকেও দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ ইত্যাদি বন্ধ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে কাজে ফাঁকিবাজি, গাফিলতি, অপচয় ইত্যাদি। এক্ষেত্রেও যদি কারো বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়, তা নিঃসঙ্কোচে করতে হবে অতি দ্রুত। ড্রেন সার্বক্ষণিক পরিষ্কার রাখার জন্য পলিথিন ব্যাগ তৈরি ও ব্যবহার, রাস্তার ধারে কাঁচাবাজার বসা ও নির্মাণ সামগ্রী রাস্তার ধারে রাখা বন্ধ করতে হবে। রাস্তায় যারা ময়লা ফেলবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ঢাকায় যানজট ব্যাপক। এতে প্রতিবছর ২-৩ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন কম হয় বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। রাস্তা দখলমুক্ত ও হকারমুক্ত করতে পারলেই যানজট অর্ধেক কমে যাবে বলেও তাদের অভিমত। অবশ্য যানজট কমানোর জন্য অনেক ফ্লাইওভার, ফুটওভার ও ইউলুপ নির্মাণ করা হয়েছে, আরো অনেকগুলোর নির্মাণকাজ চলছে। এ ছাড়া মেট্রোরেল স্থাপনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এসব কাজ শেষ হলে যানজট কিছুটা কমবে। কিন্তু শেষ হবে না। তাই রাস্তা দখল ও হকারমুক্ত করা আবশ্যক। কঠোর পদক্ষেপ নিলেই তা সম্ভব তার প্রমাণ তেজগাঁও থেকে অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড সরানো ও বেশির ভাগ বিল বোর্ড সরিয়ে ফেলা। দ্বিতীয় প্রমাণ কোরবানির বর্জ্য বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সরানো হয়েছে। স্মরণীয় যে, রাজধানীতে বহু কার পার্কিং সেন্টার এবং প্রতিটি বড় বড় প্রতিষ্ঠানেই গাড়ি রাখার স্থান রয়েছে। কিন্তু সেসব স্থানে গাড়ি রাখা হয় না। গাড়ি রাখা হয় রাস্তায়। এ ছাড়া শহরের অভ্যন্তরীণ রুটের এবং অন্তঃজেলা রুটের বাস রাখা হয় রাস্তায়। বিআরটিসির বাস পর্যন্ত। ফলে রাস্তার দুই-তৃতীয়াংশই দখলে থাকে এইগুলোর। তাই সরু জায়গা দিয়ে সহজে যেতে পারে না যানবাহন। ফলে যানজট সৃষ্টি হয়। রাজধানীর যানবাহনের প্রায় অর্ধেকই মেয়াদোত্তীর্ণ ভাঙাচোরা। চালকদের অনেকেই অদক্ষ। হেলপারও গাড়ি চালায়। এসব কারণেও যানজট সৃষ্টি ও দুর্ঘটনা ঘটে। তাই এসবই বন্ধ করতে হবে অবিলম্বে।
অপরদিকে, ঢাকা শহরের সব আবাসিক এলাকায় ব্যবসায়িক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হয়েছে, তেমনি নিরাপত্তা বিঘিœত হয়েছে। তাই অবিলম্বে এসব উচ্ছেদ করা দরকার। বাড়ির মালিকদের অবৈধ কাজের সাথে রাজউক ও সেবা খাতসমূহের দপ্তরের কিছু লোক জড়িত আছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। বহু নদীনালাসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরের বহু জায়গা দখল করে বড় বড় স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলোও ভেঙে ফেলতে হবে দখলদারদেরকেই। গত বছর মে মাসে বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে গৃহায়ন ও পূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, “দেশে ৭০ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিং রয়েছে। এসব ভেঙে ফেলা হবে।” মন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পর এক বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে তার বক্তব্য বাস্তবায়ন হয়েছে বলে মনে হয় না। যা হোক রাজধানী ঢাকায়ও অসংখ্য বাড়ি, শিক্ষাঙ্গন ও স্থাপনা ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। তন্মধ্যে অনেকগুলো চরম ঝুঁকিপূর্ণ। এই ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিং ও স্থাপনা ভেঙে ফেলার জন্য বহুবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সবই বহাল আছে। আর সেখানেই অসংখ্য মানুষ বসবাস করছে। কিন্তু ৭-৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে সাভারের রানা প্লাজা ট্রাজেডির মতো অবস্থা সৃষ্টি হবে নিঃসন্দেহে। বিশেষ করে পুরান ঢাকার অবস্থা ভয়াবহ হবে আরো বেশি। তাই এই সংকট নিরসন না করে সব বাড়ি ফ্ল্যাট রং করার সিদ্ধান্ত যক্তিযুক্ত কিনা তা ভেবে দেখা দরকার। যা হোক ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিংয়ের বিষয়ে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।
দেশের খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য পণ্যসামগ্রীতে নির্ভেজালের চেয়ে ভেজালের পরিমাণই বেশি। এমনকি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ পর্যন্ত। ওজনে কম দেয়া হয় প্রায় প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রেই। তার প্রমাণ, মাঝেমধ্যেই অভিযান চালিয়ে ভেজালকারীকে শান্তি দেয়া হচ্ছে। কিন্তু শাস্তির পরিমাণ খুব কম হওয়ায় তারা পুনরায় একই কাজ করে। তাই শাস্তির ব্যবস্থা কঠোর করা প্রয়োজন। কঠোর প্রশাসনে রুষ্ট হয় নগণ্য সংখ্যক লোক (যারা জড়িত তারা), আর খুশি হয় অধিকাংশ লোক। কারণ কঠোর প্রশাসনে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও উন্নতি ত্বরান্বিত হয়। তাই কঠোর প্রশাসকগণ স্মরণীয় হয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে একটি উদাহরণ প্রযোজ্য। দেশের স্থানীয় সরকারের অবকাঠামোগুলো খুব ভালো। এটার সূত্রপাত ঘটিয়েছেন মরহুম প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী। তিনি খুবই বাস্তবভিত্তিক কর্মে বিশ্বাসী ও কঠোর প্রশাসক ছিলেন। ফলে তিনি যেখানেই কর্মরত ছিলেন, সেখানেই ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তাই তিনি মরেও স্মরণীয় হয়ে আছেন। তাকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই পত্রিকায় নিবন্ধ প্রকাশ হয়। তাই মেয়রগণ দয়া করে কঠোর হস্তে কর্ম পরিচালনা করুন। তাহলেই দুই বছরের মধ্যেই রাজধানী ঢাকার চেহারা পাল্টে যাবে। আপনাদের জনপ্রিয়তা হবে আকাশছোঁয়া।
য় লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন