আদমদীঘি উপজেলা সদর ও সান্তাহার শহরে মার্কেটগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ মানছেনা সামাজিক দূরত্ব। প্রশাসনের লোকজনের তদারকি না থাকায় ঠিক আগের মত চলছে বাজার ও দোকানপাট, এবং ট্রেন ছাড়া চলছে সবধরনের যানবাহন।
লকডাউন শুরুর পর আদমদীঘি উপজেলা সদর ও সান্তাহার পৌর শহরে দোকানপাটগুলো বন্ধ থাকতে দেখা যায়। ঈদকে সামনে রেখে এবং দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে লকডাউন শিথিল করা হয়। সামাজিক দুরত্ব ও মাস্ক ব্যাহার দোকানের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সরকারি আইন মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখতে বলা হয়। ফলে সরকারের অঘোষিত লোকডাউন শিথিল এরপর শহরের সোনর বাংলা, উপহার, কক্সবাজার, হকমার্কেট সততাসহ শহরের প্রায়সব মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনা-কাটা জমে উঠেছে। ঈদ মার্কেটে কেনা-কাটা করতে আসা নারী-পুরুষরা কেউ সামাজিক দুরত্ব ও মাস্ক ব্যবহার না করে দোকানে হুমড়ি খেয়ে কেনা-কাটা করছে।
রমজানের আগে থেকে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে শহরের মার্কেটসহ সবধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকায় লকডাউন শিথিলের পর শহরের সবগুলো মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভির লক্ষ করা গেছে। বিশেষ করে এসব মার্কেটগুলোতে নারীও শিশুদের সংখ্যা বেশী।
শহরের সদর পথের তালুকদার বস্ত্রালয়ের মালিক কবির তালুকদার জানান, দোকানে ক্রেতাদের ভিড় আছে কিন্তু প্রত্যাশিত বেচাকেনা নেই। মাত্র ৭দিন সময় পাওয়া যাবে এতে কি রমজানের ৩০ দিনের বেচাকেনা করা সম্ভব। কারন হিসাবে তিনি জানান, করোনাভাইরাসের কারনে ঈদের বাজারে প্রভাব পছে। সোনার বাংলা মার্কেটের নিজাম দেওয়ান বলেন বেচাকেনার গতি বেশ ভালো যেভাবে চলছে এভাবে চললে গত বছরের চেয়ে এবার ব্যাবসা ভালো হবে। স্বজল মার্কেটে কেনাকাট নিয়ে কথা হয় সান্তাহার পৌর এলাকার কৃষক ছাহের আলী ও তার স্ত্রী কহিনুরের সাথে তারা জানান, করোনার কারণে এবার ভালো কালেকশান নেই। তারপরও এবার ধানের দাম ভালো তাই সমস্যা হচ্ছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন