বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহিলা

ঈদের কেনাকাটা

প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রমজান মাসের রোজা শুরু হয়ে গেছে। দেখতে দেখতে চলে আসবে ঈদ। অনেক আধুনিক মেয়েরা আছেন যারা এখনও নিজের পছন্দ সই ড্রেস অর্ডার দিয়ে বানিয়ে পরতে পছন্দ করেন। যে কোনো উৎসব শুরু হলেই ছেলেমেয়ে-বুড়ো প্রত্যেকেরই যেন দর্জিবাড়িতে যাওয়া-আসার পাল্লা বেড়ে যায়। কেনার চাইতে বানানোর প্রবণতা এখনও জনপ্রিয়তা হিসেবে কাজ করে। তাই যারা তাদের ঈদের ড্রেসটি খুবই সুন্দর ও আধুনিক ডিজাইনের তৈরি করতে চান তারা আজই পছন্দ মত কাপড় কিনে দর্জিবাড়িতে দিয়ে আসুন। কেননা বেশিরভাগ দর্জিরা রোজার মাসে দশ রোজাতেই কাপড় অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দেয়। নতুন কাপড় কেনার পূর্বে অবশ্যই কয়েকটি মার্কেটে ঘুরে নেবেন তাতে কাপড়ের মান ও দাম যাচায়ের সুযোগ থাকে। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসগুলোতে ঘুরে ঘুরে দেখে নিন এবারের তরুণ ফ্যাশন ডিজাইনাররা কেমন ডিজাইনের নতুন ড্রেসগুলো তৈরি করেছেন। একদিন নয় দু’তিন দিন ঘুরে আইডিয়া নিন। আর নিজেই নিজের ড্রেসটি পরিকল্পনা করুন। কোন কাপড়ে কোন ডিজাইনটি করলে ভাল লাগবে। ইচ্ছে করলে ড্রেসটি বানানোর পরও হাতে কিছু কাজ করে ড্রেসটি আরো গর্জিয়াস করে তৈরি করতে পারেন। বিশাল, চিনন, পাকিস্তানি কটন, ইন্ডিয়ান রিভা ও বাংলাদেশী থ্রিপিসে কারচুপি করা কাপড়ের চাহিদাই বেশি। নানারকম জর্জেটের কাপড়, থান কাপড়, প্রিন্টের কাপড়ও চলছে পুরো দমে। তবে থান ও প্রিন্টের কাপড়ের মধ্যে জরি, চুমকির কাজ, মসলিনের কাপড়ের উপর কারচুপি, সুতির ওপর বসানো কাজ করা কাপড়ের চাহিদাও বেশ তুঙ্গে উঠেছে। আপনি নিজে যদি কাপড় কিনতে না পারেন তাহলে এমন একজনকে নিয়ে যাবেন যিনি কাপড়ের দাম ও মান যাচাইবাছাই করতে পারে। খাদি কাপড় ৫০-৯০ টাকা গজ, রুবিয়া জর্জেট ১৪০-১৬০ টাকা, চায়না চিকেন জর্জেট বিভিন্ন ডিজাইন ও রঙের পাওয়া যাবে ৮০-২৩০ টাকায়, লেডিহেমিল্টন ১২০, লেজার জর্জেট ১০০ -১২০ টাকা।

দেশীয় বিভিন্ন সিল্কের কাপড় ১৭০-২৪০ টাকা, টাইডাই ৫০-৮০, পপলিন ৫০, সুতি, ফেব্রিক্স পেইন্ট ৭০, কটন জর্জেট ৮০, বল প্রিন্ট ৬০ টাকা।
যেনতেন টেইলার্সের কাছে দিয়ে আপনার কাক্সিক্ষত জামাটি নষ্ট করবেন না। কাপড় সেলাই ও কাটিংয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই দক্ষ লোককে বেছে নিবেন। প্রয়োজনে মার্কেটের আশপাশে যে টেইলার্সের দোকানগুলো থাকে সেখানে বানাতে পারেন। থ্রিপিস ৩০০-১০০০ টাকা, শুধু কামিজ ২০০-৩০০ টাকা, টুপিস ২০০-৪০০ টাকা, নরমাল ফতুয়া ২০০-৩০০ টাকা, নরমাল ব্লাউজ ২৫০-৫০০ টাকা, আস্তরসহ ৫০০-১০০০ টাকা, বাচ্চাদের ফ্রক ১০০-১৫০ টাকা। তবে স্থান ও কাপড়ের রকম বুঝে এর দাম কিছুটা কম বেশি হতে পারে।
ড্রেসটি বানানোর পর ভাল করে দেখে নিবেন ঠিক মত ড্রেসটি হয়েছে কিনা! দর্জিকে একবার এর প্রয়োজনে কয়েকবার বলবেন আপনার পছন্দের ডিজাইনটির কথা। দর্জিদেরও উচিত একবার না বুঝলে প্রয়োজনে বারবার জিজ্ঞাসা করে বুঝে রাখা। মাপ সঠিক মত না হলে ড্রেস সঠিক মত হয় না, পরেও আরাম পাওয়া যায় না। জামার গলায় ও হাতে কাজ করে জামাটি গর্জিয়াস করতে পরেন যদি কিনা জামাটির নরমাল হয়। জামাতে যারা কাজ করাবেন তারা আগেই দর্জিকে বলে রাখুন হাতা ও জামার দুপাশ যেন খোলা রাখে। বেশ কয়েকদিন সময় নিয়ে ড্রেসটি তৈরি করতে দিবেন যাতে সমস্যা হলে ফিটিংসে সমস্যাটি তাড়াতাড়ি সমাধান করার সময় থাকে। আর এটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। ড্রেসের ডিজাইনের উপর নির্ভর করে কোন ড্রেসে কতটুকু কাপড় লাগবে। নিজে যদি কাপড়ের সঠিক মাপ না জানেন তাহলে অবশ্যই পরিচিত কোন দর্জির সাথে আলাপ করে নিবেন। অনেক নরমাল টেইলার্স আছে ব্লাউজের কাজ হাতে নেন না। ভাল টেইলার্সরাও অর্ডার নেয়া প্রায় বন্ধ করে দিচ্ছে তাই যারা শাড়ির ব্লাউজ বানাতে দিবেন বলে ভাবছেন তারা আর না ভেবে জটপট বানাতে দিয়ে ফেলুন। হেলায় ফেলায় সময় নষ্ট না করে আজই অর্ডার দিয়ে আসুন।
য় শামীমা হক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন