রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

চবিতে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন বন্ধ হোক

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

সবুজ পাহাড়, বিপুল বৃক্ষরাজি আর জীববৈচিত্র্যে ভরপুর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে ক্যাম্পাসের এই নান্দনিক সৌন্দর্য দিন দিন ধ্বংস হয়ে হচ্ছে গাছখেকো কিছু মহলের কারণে। গত চার বছরে ক্যাম্পাসের আশেপাশের এলাকা থেকে অন্তত সাত হাজার গাছ কাটা হয়েছে। এমনকি গাছ পরিবহনের জন্য পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা। বর্তমানে ফাঁকা ক্যাম্পাসে সৌন্দর্যবর্ধন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ঝুঁকিসহ নানা অজুহাতে কাঁটা হচ্ছে গাছ। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু উদ্যান, চবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ ও ব্যবসা প্রশাসন অনুষদ থেকে তরতাজা ৯টি গাছ কাটা হয়েছে। গাছগুলো কাটার ফলে কেবল সৌন্দর্যহানিই হচ্ছে না, বরং ক্যাম্পাসের পরিবেশও হুমকির মুখে পড়েছে।
মো. আশরাফুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

 

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে গুরুত্ব দিতে হবে
করোনা আতঙ্কের মধ্যে এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো মিউকোরমাইসিস। এটি এক ধরনের ছত্রাকজনিত রোগ। এ রোগে আক্রান্ত স্থানে কালো দাগ তৈরি হয়। আক্রান্তদের নাক থেকে শ্লেষ্মা মিশ্রিত কালো শক্ত পদার্থ বের হয়। সাধারণত, করোনা পজিটিভ হওয়ার পর অনেকের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তাছাড়া করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়া হয়ে থাকে। স্টেরয়েডের অতিমাত্রায় ব্যবহারে অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। ফলে একজন রোগী করোনা থেকে সেরে উঠলেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। যাদের ক্যান্সার, ডায়বেটিস, কিডনি ও হার্টের রোগ রয়েছে তারা যদি করোনা আক্রান্ত হন, তাহলে তাদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ভারতে গত কয়েক সপ্তাহে কয়েক হাজার মানুষের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে এবং এই ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে ১০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপস্থিতি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, ভারতের অবস্থা বিবেচনা করে আমাদেরকে সাবধান হতে হবে। করোনার ভারতীয় ধরনের পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও যদি দেশে প্রবেশ করে তবে তা হবে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। কাজেই, মানুষের জীবন সুরক্ষার কথা চিন্তা করে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে।
মো. আশরাফুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন