মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরর ফ্লোরিডা রাজ্যের এক গবেষক জানিয়েছেন, তরমুজ উচ্চরক্তচাপ কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখে। নিয়মিত এটি খেলে হৃদপিন্ডের সুরক্ষা হয়। ফলটিতে এক ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান লক্ষণীয় মাত্রায় থাকে, যা রক্তনালী থেকে হৃদপিন্ডে দ্রæত বিস্তার ঘটায়। এর ফলে হার্ট সহজেই শরীরজুড়ে রক্ত সরবরাহ করতে পারে। গবেষণায় অংশ নেওয়া এক স্বেচ্ছাসেবী ছয় সপ্তাহ ধরে নিয়মিত তরমুজ খান। এর ফলে দেখা যায়, তাঁর হৃদপিন্ডের বেশ উন্নতি হয়েছে। হৃদরোগের জন্য নিয়মিত ওষুধসেবীদের তুলনায় তার উন্নতি লক্ষণীয় ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের জার্নাল অব হাইপারটেনশনে গবেষণা প্রতিবেদনটি স¤প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। প্রচন্ড গরমে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। কখনও মাথা যন্ত্রণা করে, তো কখনও জ্বরে গা পুড়ে যায়। আবার অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের খিদেই পায় না। গরমের এই সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্ত করতে পারে একটা ফল, তা হলো তরমুজ। তরমুজে পানির পরিমাণটা বেশি থাকে। তাই তরমুজ খেলে গরম কম লাগার সঙ্গে শরীরের অন্যান্য সমস্যাও দূর হয়ে যায়। তরমুজে যেসব খনিজ পদার্থ রয়েছে তা হলো ক্যালসিয়াম রয়েছে ১০ গ্রাম, ফসফরাস ১০ মিলিগ্রাম, লোহ ১২ কিলোগ্রাম, পটাসিয়াম ৩১.৯ গ্রাম, সোডিয়াম ১৩.৫ গ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২০.০ গ্রাম, তামা ০.৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সিআর প্রোটিন ১ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৪ গ্রাম। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন তাঁদের জন্য তরমুজ খুব উপকারী। অর্শ রোগীরা তরমুজ খেয়ে সমস্যা মুক্ত হতে পারেন।
তরমুজ খেলে রক্তচাপের মাত্রা কমে যায়। তাই উচ্চরক্তচাপের রোগীরা তরমুজ খেয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। তরমুজের রস খেলে খাবার খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। গভীর ঘুম হয়। দুর্বল লাগার আশঙ্কাও থাকে না। ওজন কমাতে তরমুজের রস খুবই ফলদায়ী। প্রস্রাবে জ্বালা হলে তরমুজের রসের মধ্যে বরফ মিশিয়ে খান। উপকার পাবেন। ঘন ঘন ঢেঁকুর বন্ধ করতে তরমুজের রসের মধ্যে গোলমরিচ গুঁড়ো সন্ধব লবণ এবং বিট নুন মিশিয়ে খান টক ঢেঁকুর ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে। রোদে ঘুরে যদি জ্বর আসে তরমুজের রস খান। খুব তাড়াতাড়ি জ্বর নেমে যাবে। তরমুজের বীজও খুব উপকারী। তরমুজের বীজ চিবোলে দাঁতে পাড়েরিয়া রোগ হয় না।
সাংবাদিক-কলামিস্ট
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন