গ্রীষ্মের তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। দাবদাহ থেকে সামান্য পরিত্রাণ পেতে তরমুজই পছন্দ করেন। কিন্তু আকাশছোঁয়া দামের কারণে এখন আর তরমুজের স্বাদ নিতে পারছেন না নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষরা। এরই মধ্যে তরমুজের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
রাজধানীতে তাপমাত্রা যেমন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তেমনি বাড়ছে তরমুজের দাম। বর্তমানে এক কেজি চালের দামে এক কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। আর খুচরা দোকানে প্রতি কেজি চালও একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা জানান, এবার মৌসুমের শুরু থেকেই তরমুজের দাম বেড়ে গেছে। রোজার শুরুতেও বাজারে তরমুজ কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। এর আগে কখনো তরমুজ কেজি ধরে বিক্রি হয়নি।
অভিযোগ উঠেছে, সিন্ডিকেট করে তরমুজ ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো তরমুজের দাম বাড়িয়েছেন। সরবরাহ থাকলেও সংকটের কথা বলে তরমুজের দাম বেশি নিচ্ছেন।
জানা গেছে, বিক্রেতারা কৃষকের কাছ থেকে জমি থেকে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে এনে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কেজি দরে বিক্রি করছেন। এতে প্রকৃত চাষিরা দাম কম পেলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা বিপুল অঙ্কের মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
অটোরিকশার চালক আরিফ হোসেন বলেন, লকডাউনের কারণে ঠিকমতো গাড়ি চালাতেই পারি না, রাস্তাঘাটে যাত্রীরও অভাব। দিন শেষে যা আয় হচ্ছে, তাতে কোনরকমে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেঁচে আছি। ছেলেমেয়েরা খেতে চাইলেও এ রোজগারে এত দামে তরমুজ খাওয়ানো সম্ভব হবে না।
যাত্রবাড়ীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম জানান, বর্তমানে প্রতি কেজি চালের দাম ৫০-৬০ টাকা। আর এক কেজি তরমুজের দামও একই। এত দামের কারণে এ বছর সবার পক্ষে মৌসুমি এ ফল কিনে খাওয়া সম্ভব না।
তরমুজ কিনতে আসা এক শ্রমিক বলেন, এক কেজি চাল কিনতে লাগছে ৬০ টাকা। আর এক কেজি তরমুজও কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকা দিয়ে। যা সবার পক্ষে কেনা সম্ভব নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন