শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

শীতল ফল তরমুজের দামে আগুন

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

বগুড়ার সান্তাহার বাজারে উঠছে জনপ্রিয় ফল তরমুজ। এবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হারে এর উৎপাদন হয়েছে। বাজারে বিক্রি ও হচ্ছে চড়াদামে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে বলে। খাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় দোকানের আশেপাশে যেতে পারছে না সাধারণ মানুষ। সাধারণত গ্রীষ্মকালে হাট-বাজারে পাওয়া যেত সব জাতের তরমুজ। বর্তমান প্রযুক্তির আবিষ্কারে দেশে সবকিছুর বদলের সাথে তরমুজ চাষের পদ্ধতি বদলেছে। এখন দেশের তরমুজ চাষিরা এই লাভজনক ফল চাষ আগাম শুরু করেছে। ফলে শীতকাল শেষ না হতেই অসময়ে বাজারে উঠতে শুরু করে প্রিয় শীতল ফল তরমুজ। বর্তমানে রমজান মাসের কারণে এর দাম ও বিক্রি দুটোই এখন বেশি। ফলে চাষি ও খুচড়া ব্যবসায়ী উভয় লাভবান হচ্ছে।

স্থানীয় বিসমিল্লা বীজ ভান্ডারের মালিক মো. মকছেদ আলী জানান, এখন বাজারে যেসব তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর নাম জাপানি টাকি কোম্পানির বিগ ফেমেলি ও রোয়েল ফেমেলি, কালো ব্লাকবেরী, ব্লাক লায়ন, ব্লাক সুইট। এসবের আগাম চাষ হচ্ছে সিলেট, সুনামগঞ্জের চর এলাকায়। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে আত্রাই, নলডাঙ্গা, বাসুদেবপুর নাটোর, চাঁচখোর, গুরুদাসপুর গাইবান্ধ, পীরগঞ্জ, রংপুর, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর, জামালগঞ্জ, পাঁচবিবি এবং এর আশপাশ এলাকায় ব্যাপক হারে তরমুজ চাষ হচ্ছে।
তরমুজ শুধু শীতলকারক, তৃষ্ণা নিবারক ও প্রশান্তি দায়কই নয় চিকিৎসকরা জানায়, তরমুজে বিদ্যমান উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে টিউমারের বৃদ্ধি হ্রাস করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং হৃদযন্ত্রের শক্তি ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হার্ট এ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিহত করে। তরমুজে দেহের বিদ্যমান পটাশিয়াম ফ্লোরিড ও মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক রাখে, মাংসপেশীর অতিরিক্ত সংকোচন দূর করে। সারাদেহে স্নায়ু উদ্দীপনা প্রেরণ করে। শুধু তাই নয়, এটি মস্তিস্ক ফুসফুস যকৃৎ কিডনি ও পাকস্থলীকে শক্তিশালী করে, পেপটিক আলসার সৃষ্টিতে বাধা দেয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে। গ্রীষ্মকালিন সময়ে সব বয়সের মানুষের কাছে এটি প্রিয় ফল। সান্তাহারের হাটে-বাজারে আগাম জাতের এবং কালো তরমুজ ব্যাপক আমদানি হচ্ছে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। রমজান আর লকডাউনের কারনে বর্তমানে এর দাম বেশি বলে সবশ্রেণির মানুষ কিনতে পারছে না।
স্থানীয় তরমুজ ব্যাবসায়ী আফতাব হোসেন আদমদীঘি উপজেলার কায়েতপাড়া গ্রামের তরমুজ ক্রেতা, শফির আলী জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ ফলের দাম বেশি। রমজানের মাস রোজা রেখে ইফতারির সময় শীতল ফল তরমুজ সবার কাছে প্রিয়। কিন্তু দাম বেশি বলে তরমুজ কেনা যাচ্ছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন