কুতুবদিয়া দ্বীপের ১ লাখ মানুষের দিন কাটে আতঙ্কে। সাগরের মাঝখানে অবস্থিত দ্বীপের ভাঙা বাঁধ দিয়ে জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের পানি সমতল এলাকায় ঢুকে পড়ায় দ্বীপবাসীর জীবনযাত্রা মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, আমরা রিলিফ চাই না। চাই শক্তিশালি বেড়িবাঁধ।
কুতুবদিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সাড়ে ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ সাড়ে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের এক কিলোমিটার, দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের আধা কি.মি, লেমশীখালী ইউনিয়নের ১কি.মি, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের আধা কি.মি, বড়ঘোপ ইউনিয়নের দুই কিলোমিটার এবং আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে সাড়ে ৩ কিলোমিটার।
এছাড়াও সাড়ে ১৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সংস্করণ হয়নি। এসব এলাকায় সাগরের পানি বৃদ্ধির সথে বাতাসের তীব্রতা বাড়লে যেকোনো সময় বড় ধারণের ক্ষতি হতে পারে। এ কারণে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ চরম উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। সাড়ে ৩ কি.মি বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই নাজুক। এ ইউনিয়নে কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ জানান, তার ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ আধা কিলোমিটার মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এতে প্রায় ৫০০ পরিবার ক্ষতির মুখে রয়েছে। দ্রুত সময়ে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে জোয়ারের পানি ঠেকানোর ব্যবস্থা করা না হলে এলাকার ৬ হাজার মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পাউবো উপ-সহকারী প্রকৌশলী এলটন চাকমা জানান, কুতুবদিয়াকে রক্ষার জন্য পাউবো ৭১ পোল্ডারের আওতায় ৪০ কি.মি বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ১৫.৯০ কি.মি বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। অসম্পূর্ণ কাজ রয়েছে সাড়ে ১৫ কি.মি। এছাড়াও সাড়ে ৮ কি.মি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। তবে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ মেরামত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন