শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনা ঝুঁকিপূর্ণ হলে স্থানীয় প্রশাসন দিতে পারবে লকডাউন

সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনা সংক্রমণের জন্য দেশের যেসব স্থান ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে লকডাউন দেয়ার জন্য স্থানীয় মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। করোনাকালে সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোও বিধিনিষেধের আওতায় পড়েছে। বিয়ে-সাদি বা রাজনৈতিক জনসমাবেশও হচ্ছে না খুব একটা। এ অবস্থায় ঘরোয়া অনুষ্ঠানে উৎসাহিত করেতে বলা হয়েছে।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব একথা বলেন। করোনা সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির কয়েকটি জেলা লকডাউনের বিষয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিঠিটা এখনও পাইনি। ডিসি, সিভিল সার্জন, চেয়ারম্যান বা মেয়রদের বলে দেয়া আছেÑ যদি আপনারা মনে করেন কোনো জায়গা হার্মফুল হয়, সেক্ষেত্রে আপনাদের কমফোর্ট অনুযায়ী এটা করে দিতে পারবেন।

ইচ্ছা করলে স্থানীয় জেলা প্রশাসন লকডাউন ঘোষণা করতে পারবেন কি না এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ওনাদের আগেই বলে দেয়া হয়েছে। যেমন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এটা কিন্তু ওখান থেকেই সাজেশন এসেছে। আমরা আরও জেলাগুলোতে বলে দিয়েছি, যদি মনে করে পুরো জেলা না করে ওই বর্ডার এলাকা লকডাউন করতে হবে, সেটাও বলে দেয়া হয়েছে। যেভাবে ওনারা সাজেশন দেবেন। উত্তরাঞ্চলে এখন আমের মৌসুম। এই সময়ে যদি পুরোপুরি লকডাউন হয় তখন কী হবে। এগুলো বিবেচনায় আছে।

কিছু জেলায় অক্সিজেন সঙ্কট রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অলরেডি গত পরশু দিন ডিজি হেলথকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জেলাগুলোয় যেন তাড়াতাড়ি অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন। আইসিইউ বা হাই ফ্লো অক্সিজেন কীভাবে করা যায়। অথবা মেডিক্যাল কলেজগুলোতে সিরিয়াস পেশেন্টগুলোকে আগে শিফট করার চেষ্টা করেন। আর ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট হলে তাহলে তাদের আবার রাখার জন্য বলা হয়েছে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কীভাবে স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন দেয়া হবে তা জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সংসদ সদস্য, সিভিল সার্জন ও মেয়ররা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা চাইলে পুরো জেলায় বা জেলার কিছু অংশে লকডাউন দিতে পারেন। অবস্থা বুঝে তারা ব্যবস্থা নেবেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যাদের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে, তাদের আলাদা করে রাখার জন্য বলা হয়েছে। আর যারা সে দেশ থেকে আসছেন তাদের অবশ্যই ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন করতে হচ্ছে। ক্রিকেটার সাকিব ও মোস্তাফিজকেও কোয়ারেন্টিন করতে হয়েছে। তারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন। কারও ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। আবারও অনুরোধ আমরা সাবই যেন মাস্ক ব্যবহার করি। সাবান পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করি। আমরা যদি এই বিধি মানি তাহলে আশা করি করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যের ডিজিকে নির্দেশনা দেয়া আছে। যেখানে যা লাগে সেভাবে যেন ম্যানেজ করা হয়। অক্সিজেন জোগাড় করতে হলে করবেন। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পেলে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় পাঠাবেন কোয়ারেন্টিনে। আলাদা রাখার বিষয়ে বলা আছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এরমধ্যে কয়েকটা বিষয় আমার নলেজে এসেছে, মসজিদে গিয়ে বিয়ে পড়িয়ে তারপর ৪-৫ জন গিয়ে বউ নিয়ে এসেছে। আমরা প্রশংসা করি এবং ধন্যবাদ জানাই যারা এ কাজগুলো করছেন।

এনআইডি কার্যক্রমটা নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেয়া হচ্ছে, সেটা নিয়ে সিইসি এবং অন্যরা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা তো অনেক আগের সিদ্ধান্ত। প্রয়োজন হলে পুরোপুরিটার জন্য আমরা আবার মিটিং করবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন