শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

চৌহালীকে গিলে খাচ্ছে প্রমত্ত যমুনা

সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। যমুনা নদীর করাল গ্রাসে ভিটে-মাটি নয়, একটু একটু করে হারিয়ে যাচ্ছে স্বপ্ন। প্রতিদিন নদীতে স্বপ্নগুলো টুকরো হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। চৌহালীকে গিলে খাচ্ছে প্রমত্ত যমুনা নদী। তাই ভাঙন কবলিত এলাকাবাসী ক্ষোভের সাথে জানান আর আর কত জমি-জমা বসত ভিটা গ্রাস হলে আমরা পাবো স্থায়ীবাধ?
গত কয়েক দিনে উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ, হাট, বাজার, রাস্তা-ঘাট, আবাদী জমিসহ বহু স্থাপনা। ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে ঘর ভেঙে আসবাপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
চরবিনানই, মিটুআনি, চরনাকালিয়া গ্রামের স্থানীয়রা জানায়, যমুনা নদীতে পানি বাড়ার কারণে গত কয়েকদিন যাবত উপজেলার বাঘুটিয়া, খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের রেহাইপুখুরিয়া, চরনাকালিয়া, চরবিনানই, চরসলিমাবাদ, মিটুয়ানি, খাষপুখুরিয়া গ্রামে তীব্র নদী ভাঙন চলছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে মিটুয়ানি হাইস্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাটবাজার, মসজিদ, বাড়িঘড়। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি ফসলী জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে আসবাপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে ভুক্তভোগীরা। বাড়িঘর হারিয়ে ভাঙন কবলিত মানুষ অনেকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব এসব মানুষ ছেলে মেয়ে নিয়ে এক বেলা খেয়ে আর এক বেলা না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীরা বলেন, এই মুহূর্তে যদি ভাঙন রোধে কাজ না করা হয় তাহলে বর্ষা মৌসুমেই বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বাকি অংশটুকু নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, চৌহালীর দক্ষিণ এলাকায় পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে নদী ভাঙন হয়েছে। এখানে ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায়। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি একনেকে অনুমোদন হবে বলে আমরা আশা করছি। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে স্থায়ী কাজ শুরু করবো। তখন আর নদী ভাঙন থাকবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন