করোনাভাইরাসের কারণে জিম্বাবুয়েতে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য লকডাউন ঘোষণা দিয়েছে সেদেশের সরকার। লকডাউনের আওতায় আছে সব ধরণের ক্রীড়া কার্যক্রমও। এতে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে-এ ও দক্ষিণ আফ্রিকা-এ দলের চলমান চারদিনের ম্যাচও। খবরটি শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে আগামী জুলাইতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জিম্বাবুয়ে সফরকে। তবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট (জেডসি) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) আশ্বস্ত করেছে, সিরিজটা তারা আয়োজনের সব ধরনের চেষ্টাই চালাবে।
আগামী মাসে দেশটিতে তিন সংস্করণের প‚র্নাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে যাত্রার দিনক্ষণও- আগামী ২৯ জুন হারারের উদ্দেশ্যে রওনা হবে সাকিব-তামিম-মুশফিকরা। চারদিনের ম্যাচ দিয়ে সফর শুরুর পর বুলাওয়েতে একমাত্র টেস্ট খেলার কথা মুমিনুল হকদের। এরপর স্বাগতিকদের বিপক্ষে হারারেতে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা বাংলাদেশের। তবে তার আগে গতকাল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিই বাঁধিয়েছে গোল। যেখানে জানানো হয়, জিম্বাবুয়ে ‘এ’ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের মধ্যকার চারদিনের ম্যাচের মাঝপথেই তা থামিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় জিম্বাবুয়ে সরকার নানা রকম বিধি নিষেধ জারি করে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য লকডাউন দিয়েছে। ম্যাচটি আপাতত বন্ধ করে দিলেও জিম্বাবুয়ে বোর্ড জানিয়েছে, তারা সরকারের কাছে নিজেদের জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে ‘এ’ দলের ম্যাচ শেষ করার অনুমতি জানাবে। পাশাপাশি বিশেষ বিবেচনায় ঘরের মাটিতে বাংলাদেশ সিরিজ আয়োজনেরও অনুমতি চাইবে। তবে বিষয়টি নির্ভর করছে জিম্বাবুয়ে সরকারের স্বদিচ্ছার উপর।
আপাতত তাদের সাথে যোগাযোগ করে সিরিজ হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। লকডাউনের খবর শুনে জিম্বাবুয়েতে যোগাযোগ করার পর সে কথাই গতকাল শোনালেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী, ‘করোনার সংক্রমণের ফলে ওদের সরকার সব ধরণের স্পোর্টস বন্ধ করেছে। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড আমাদের জানিয়েছে তারা ক্রিকেট চালিয়ে নিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে। ওদের সিইও’র সাথে সকালে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন তারা সরকারের সঙ্গে সিরিজ আয়োজনের লক্ষ্যে আলোচনা করছে এবং তারা আশাবাদী। আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। তারা সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।’
বাকি বিশ্বের তুলনায় করোনাভাইরাসে জিম্বাবুয়েতে আক্রান্তের সংখ্যা কম। এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তে হয়েছে ৪০ হাজারেরও কম মানুষ। মৃত্যু হয়েছে দুই হাজারেরও কম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন