বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কলাপাড়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০২১, ৮:২৩ পিএম

কলাপাড়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ আমলে নিয়ে অভিযোগের সত্যতা নিরূপণে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) পটুয়াখালীকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন শাহরিয়ার’র আদালত স্বপ্রনোদিত হয়ে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯০(১)(সি) ধারার বিধান মতে এ নির্দেশ প্রদান করেন।

আদালতের এ আদেশে বলা হয়, প্রকাশিত সংবাদে পরিলক্ষিত হয় - কলাপাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী মাদকদ্রব্যের বিস্তার প্রতিরোধের পরিবর্তে বিভিন্ন ফৌজদারী অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছেন, যা তদন্ত হওয়া আবশ্যক। তাই গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের সত্যতা নিরূপণ করে ৪০ কার্য দিবসের মধ্যে সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নীচে নয় এমন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা প্রধান পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করা হল। আদালতের ষ্টেনো কাইয়ুম আকন্দ ২০ জুন দুপুরে জারিকৃত এ আদেশের পূর্নাঙ্গ কপি প্রকাশের পর আজ (২৪জুন) এ আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অত্র মিসকেস-৫/২০২১ মামলার পরবর্তী তারিখ ২৬ আগষ্ট ধার্য।

এদিকে বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়েরকৃত পৃথক দু’টি মামলার বাদী নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের আ: রাজ্জাক সিকদার ও মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর চরপাড়া গ্রামের মো: মুনসুর জোমাদ্দার’র বিরদ্ধে দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর ১৮৯৮ এর ধারা ১৯০(১)(সি) অনুযায়ী পেনাল কোড, ১৮৬০ এর ধারা ২১১ অনুযায়ী স্বপ্রনোদিত হয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছেন একই আদালত। উল্লিখিত মিস কেস-৬/২০২১ ও মিস কেস-৭/২০২১ মামলার পরবর্তী তারিখ ২৬ আগস্ট ধার্য।

উল্লেখ্য, গত ২৪ মে কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রুনা বেগম মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কলাপাড়া সার্কেলের পরিদর্শক ফরহাদ হোসেন, উপ-পরিদর্শক রুহুল আমিন, জহিরুল ইসলাম সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, “আমি ভাল অইতে চাই, ক্যামনে ভাল অমু। ইয়াবা-গাঁজাসহ মাদকের ব্যবসা না করলে একের পর এক মাদকের মামলা দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ছয়টি মামলা দেয়া হয়েছে। তাদের কথা, প্রয়োজনে এক লাখ টাকা নে। ইয়াবার ব্যবসা কর। আর প্রত্যেক মাসে ২ডা আসামি ধরাইয়া দে। আমি এতে রাজি না হওয়ায় আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের একের পর এক মাদক মামলায় আসামি করা হচ্ছে” - এ সংবাদ সম্মেলনের উক্ত অভিযোগ সম্বলিত তথ্য ২৪ ও ২৫ মে একাধিক নিউজ পোর্টাল, জাতীয় দৈনিকের অনলাইন ভার্সন ও প্রিন্ট ভার্সনে প্রকাশ পায়। এছাড়াও ইতোপূর্বে একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা ইয়ামিন ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনয়ন করেন, যা ২০ ডিসেম্বর ২০২০ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন