সাতদিনের লকডাউনে গার্মেন্টসসহ শিল্প কারখানা চালু রাখায় নারায়ণগঞ্জের শ্রমিকরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। যানবাহন না থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার শহর ও ফতুল্লার বিভিন্ন সড়কে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে, এসময় গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও রিকশা ও ব্যক্তিগত কিছু গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে গার্মেন্টসকর্মীরা রিকশায় না চড়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। লকডাউনের ১ম দিনে কঠোর ভ‚মিকায় রয়েছে প্রশাসন। সড়ক-মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এদিকে পরিবহন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন কারখানামুখী শ্রমিকরা। বিধিনিষেধের মধ্যেও পোশাক কারখানা খোলা রেখে পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি বিধিনিষেধ কার্যকর করতে সেনাবাহিনীর ৫টি দল ও ৩ প্ল্যাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ২০ টিম ও পুলিশের ৩১টি টিম কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য রোভার স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের মন্ডলপাড়া, ২ নম্বর গেট, চাষাঢ়া চত্বর, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কের প্রবেশমুখ সাইনবোর্ডসহ কয়েকটি স্থানে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া অন্যান্য সড়ক-মহাসড়কগুলোতেও রয়েছে পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল। এসময় দেখা যায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। এছাড়া বাসা থেকে কেউ বের হলে সতর্ক করছে তারা। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর সঙ্গে আলোচনা শেষে সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় নামেন। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী সদস্যরা মাঠে কাজ শুরু করেন।
চাষাঢ়ায় ডিউটিরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান জানান, কঠোর বিধিনিষেধে নারায়ণগঞ্জে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুরো জেলায় ২০টি মোবাইল টিম কাজ করছে। প্রতিটি টিমে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছে। তাদেরকে নিয়ে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন