এগিয়ে আসছে ঈদুল আযহা। এবারও করোনার মধ্যে এসেছে কোরবানীর ঈদ। তবে গত বারের চেয়ে সময়টা এ বছর বেশী খারাপ। নানা বিধি-নিষেধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। আর মাত্র দুই সপ্তাহ সময় আছে ঈদের। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে খামারীদের দুশ্চিন্তা। জানা গেছে, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে রাজশাহী বিভাগে দেড় লাখ খামারে প্রায় ২৪ লাখ গবাদি পশু পালন করা হয়েছে। গত বছর ছিল প্রায় আঠারো লাখ। অর্থাৎ এবার গতবারের চেয়ে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ বেশী।
রাজশাাহী প্রাণিসম্পদ দফতরের দেয়া তথ্যমতে, বিভাগটিতে এ বছর ১ লাখ ৫১ হাজার ১৮টি খামারে গরু, মহিষ ও ছাগলসহ অন্যান্য গবাদি পশু পালন করা হয়েছে মোট ২৩ লাখ ৯২ হাজার ৪১৯টি। যার মধ্যে গরু ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৯১৫টি, মহিষ ৩৫ হাজার ৭৫৬টি, ছাগল ১১লাখ ৬২ হাজার ৩৩৪টি এবং ভেড়া পালন করা হয়েছে ২লাখ ৭ হাজার ৬৩টি।
এদিকে করোনার কারণে চলছে লকডাউন। কতদিন চলবে তা নিশ্চিত নয়। পশু হাট বসবে কিনা তাও অনিশ্চিত। খামারে বা বাড়িতে বাড়িতে এসে খুব সহজ নাও হতে পারে পশু বেচাকেনা। যানবাহন বন্ধ থাকার কারণে বাইরে থেকে আসতে পারছে না পাইকারী গরু ব্যবসায়ীরা। অন্য বছর ক্রেতা বিক্রেতাদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে রাজশাহীর হাট ও খামারগুলো।
রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের পরিচালক ডা: উত্তম কুমার দাস বলেন, গেল বছরের তুলনায় এ বছর রাজশাহী বিভাগে ও জেলায় গবাদি পশু বেশী উৎপাদিত হয়েছে। স্থানীয় খামারগুলোতে প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। সেই সাথে খামারের গবাদি পশুগুলোকে নিয়মিত টিকাসহ সব ধরনের চিকিৎসায় সহযোগিতা করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন