ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক এএইচএম সালেকিন মামুনকে মারধর এবং লাঞ্ছিত করার ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক মনির সহ চার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন কামরুজ্জামান (৩৫), জুয়েল (২৭), রানা দে (২৬) ও শরীফ (২৫)।
মনিসহ গ্রেফতার পাঁচজনকে বুধবার (৭ জুলাই) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। উক্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুক্তাগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আকন্দ।
তিনি জানান-মারধর এবং লাঞ্ছিত হবার কারণে মঙ্গলবার (৬ জুলাই রাতে) ভুক্তভোগী চিকিৎসক এএইচএম সালেকিন মামুন বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় একটি মামলা করেন। সেই রাতেই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক মনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।একই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরও চারজনকে বুধবার বেলা ১১টায় গ্রেফতার করা হয়। পরে মনিসহ পাঁচজনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলায় ভুক্তভোগী চিকিৎসক অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি সেবার নম্বরে কল করেন মাহবুবুল হক মনি। এ সময় তিনি তার মায়ের করোনা পরীক্ষার জন্য বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে জানতে চান। তখন তাকে বলা হয়, বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে।তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে এসে নমুনা জমা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর মনি তার দলবল নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তার কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে গালিগালাজ ও মারধর করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন