প্রতিদিনই সংক্রমণ ও মৃত্যুর রেকর্ড ভাঙছে করোনা সিলেটে। আজ বৃহস্পতিবার অতীতের সকল সংক্রমণের রেকর্ড ভেঙ্গে ৩৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছে সিলেটে। এছাড়া ৩ জনের হয়েছে মৃত্যু। এই অবস্থায় দেশে চলছে কঠোর বিধি নিষেধের লকডাউন। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সবধরনের জনসমাগম। তারপরও নগরীতে ৮টি গরুর হাট বসাতে চায় সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে নগরে ৮টি গরুর হাট বসানোর জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুমোদন চেয়েছে সিসিক। তবে হটের জন্য এখনো জেলা প্রশাসন থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে সিসিক কর্তৃপক্ষ।
সিসিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জুন নগরীর ৮টি এলাকায় গরুর হাট বসানোর জন্য জেলা প্রশাসন বরাবর আবেদন করে সিলেট সিটি করপোরেশন। জেলা প্রশাসনের অনুমোদন আসলেই ওইসব এলাকায় গরুর হাটের জন্য প্রস্তুতি শুর হবে। এদিকে সিলেট জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলছে, সিসিক থেকে গরুর হাটের জন্য আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। সিসিকের গরুর হাটের জন্য নির্ধারিত ৮টি স্থান হল- দক্ষিণ সুরমা বাস টার্মিনালের পাশের খালি জায়গা, ঝালোপাড়া স্কুলের মাঠ, রিকাবীবাজার যাত্রী চাউনির পাশে, টিলাঘর পয়েন্টের খালি জায়গা, মাছিমপুর কয়েদির মাঠ, আম্বরখানা আবাসন সংলগ্ন মাঠ, মদিনামার্কেট ও চৌকিদেখির সড়ক সংলগ্ন এলাকায় গরুর হাটের স্থান নির্ধারণ করেছে সিসিক। এদিকে গত (২৭ জুন) আম্বরখানা মোড় সংলগ্ন আবাসন এসোসিয়েট প্রাইভেট লিমিটেড এর জায়গায় পশুর হাট না বসাতে আবেদন করেছেন প্রকল্প পরিচালক মো. খিজির আহমদ। একই দিনে চৌকিদেখি রাস্তা ও আম্বরখানা রাস্তার মোড়ে পশুর হাট না বসাতে সিলেট নগরীর ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রাও সিলেটের জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও সিটি মেয়র বরাবর আবেদন করেন।
মহানগর আওয়ামী লীগ ৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আজিজুল হক চৌধুরী মতি বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত সিসিকের নির্ধারিত আম্বরখানা ও চৌকিদেখি গরুর হাটের জায়গা। এই জায়গাগুলো সড়ক সংলগ্ন। এ দু’টি স্থান সিলেটের বিমানবন্দর সড়কে অবস্থিত। ওই দুই স্থানে নেই গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। এছাড়া এয়ারপোর্ট সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতশত ট্রাক ও নানা ধরণের যানবাহন চলাচল করে। প্রায়ই ওই সড়কে দুর্ঘটনায় ঘটে। তাছাড়া বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি ঊর্ধ্বগতি। ওই দুটি স্থানে অস্থায়ী হাট বসালে পরিবেশের ক্ষতি ও করোনার এই ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ নানা ধরণের স্বাস্থ্যগত সমস্যার সম্মুখীন হবেন। এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, প্রায় ১৫দিন আগে জেলা প্রশাসন বরাবর আবেদন করেছি আমরা। তখন এখনকার মত ছিল না করোনা পরিস্থিতি। জেলা প্রশাসন অনুমোদন না দিলে তো হাট বসানো হবে না বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, গরুর হাটের জন্য সিলেট সিটি করপোরেশন থেকে আবেদন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সভাতেও হয়েছে কথা। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন