রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রফতানি পণ্যের জট কমাতে চট্টগ্রাম বন্দরের ৭ দফা সুপারিশ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০২১, ১২:০৫ এএম

বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোগুলোতে রফতানি পণ্যের জট কমাতে সাত দফা সুপারিশ দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রফতানি পণ্য সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দর হয়ে ইউরোপ-আমেরিকায় পাঠানো হয়। কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকাগামী জাহাজে বুকিং না পাওয়ায় চট্টগ্রামের ১৯টি ডিপোয় এখন রফতানি পণ্যের স্তুপ জমে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে গত বুধবার বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকের পর গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বন্দরের সার্বিক আমদানি-রফতানি পরিস্থিতি তুলে ধরার পাশাপাশি রফতানি পণ্য জট কমাতে সাতটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয় সম্প্রতি করোনার কারণে বিভিন্ন দেশে লকডাউনের জন্য সিঙ্গাপুর, কলম্বোসহ বিশ্বের বিভিন্ন বন্দরে জাহাজের এবং পণ্যের জট সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বব্যাপী গত এক বছরে বিভিন্ন দেশে লকডাউনের ফলে শ্রমিক সঙ্কট, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা, বিভিন্ন বন্দরে জটের কারণে বিশ্বের সকল প্রান্তেই পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সিঙ্গাপুর, কলম্বোসহ বৃহৎ বন্দর সমূহে জটের কারণে জাহাজ ভিড়তে ৮-১০ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ, ভারত, কম্বোডিয়ার মতো ছোট বন্দর থেকে বড় বন্দরে পণ্য জাহাজীকরণে বিলম্ব হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেইনার সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে পৌঁছানোর পর মাদার ভ্যাসেলে কানেকশান পেতে প্রায় ২ সপ্তাহ সময় লাগছে।

কিন্তু চটগ্রাম বন্দরে মহামারিতেও আমদানি-রফতানি কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালিত হয়েছে এবং এখনও সার্বক্ষণিক চালু রয়েছে। প্রতিদিন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি-রফতানি পণ্য নিয়ে ১০-১২টি জাহাজ বন্দরে আসছে ও বন্দর ছেড়ে যাচ্ছে। বন্দর সচিব বলেন, প্রতিটি জাহাজেই তাদের প্রকৃত ধারন ক্ষমতার চেয়ে ২৫-৩০ শতাংশ স্লট খালি নিয়ে যাওয়া আসা করছে। এতে প্রতীয়মান পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের কোন ঘাটতি নেই। বর্হিনোঙ্গরে কন্টেইনার জাহাজের অবস্থানকাল ২-৩ দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে।

এতে বলা হয়, বিভিন্ন এমএলও এবং ফিডার অপারেটরদের মধ্যে কমন ক্যারিয়ার এগ্রিমেন্ট ও কন্টেইনার ডিরেক্ট ইন্টার চেইঞ্জ প্রথা চালু না থাকায় বা দু’একটি এমএলও এবং ফিডার অপারেটরের মধ্যে এগ্রিমেন্ট থাকলেও তার প্রয়োগ না থাকায় রফতানি পণ্য পরিবহনে সমন্বয়হীনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। পরস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে একে অপরের কন্টেইনার ব্যবহার করতে পারলে এবং একে অপরের জাহাজের অব্যবহৃত স্লট ব্যবহার করলে পণ্য পরিবহন আরো অধিকতর সহজ হবে।

আমদানি-রফতানি পণ্য কন্টেইনারের মাধ্যমে পরিবহনে বিশ্বব্যাপী যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে তা বিজিএমএইএ, এমএলও, ফ্রেইট ফরওয়াডার, ফিডার ভেসেল অপারেটর এবং বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব বলেও মত দেন তিনি। সিঙ্গাপুর এবং কলম্বো বন্দরে বাংলাদেশ থেকে রফতানি কন্টেইনার সমূহ মাদার ভেসেলের মাধ্যমে পরবর্তী গন্তব্যে দ্রুত পরিবহনের জন্য সিঙ্গাপুর এবং শ্রীলঙ্কায় নিয়োজিত বাংলাদেশের হাইকমিশনারগণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেন বলেও মত দেন বন্দর সচিব

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন