মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার বন্ধের নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। গতকাল সকাল থেকে ঘাটে উভয়মুখী যাত্রী চাপ দেখা গেছে। সেই সাথে ফেরিতে ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রীদের গাদাগাদি করে নদী পারাপার হতে দেখা গেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ছোট ছোট যানে চড়ে বা পায়ে হেঁটে যাত্রীরা ঘাটে পৌঁছাচ্ছে পদ্মা পাড়ি দিতে।
গতকাল সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট এড়িয়ে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলসহ ব্যক্তিগত গাড়ি ঘাটে আসতে দেখা গেছে। আর পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও পিকআপের সংখ্যাও বেড়েছে। এদিকে সারা দেশে কঠোর লকডাউন আরোপের পরও মানুষ নানা কৌশলে ফেরি ব্যবহার করে নদী পারাপার হচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে ফেরিতে যাত্রী পরিবহন বন্ধের মতো কঠোর অবস্থানে যায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
গত শুক্রবার বিআইডব্লিউটিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ফেরিতে যাত্রী ও যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি পারাপার বন্ধ থাকবে। তবে যথারীতি কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পণ্যবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত গাড়ি পারাপার করা হবে। বিজ্ঞপ্তির পরেও গতকাল সকাল থেকে শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপারের দৃশ্য দেখা গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসির) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামিল আহমেদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে সকাল থেকে ১১টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রী পারাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পুলিশকে বলা হয়েছে যাতে ব্যক্তিগত গাড়ি ফেরিতে না উঠে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ঘাটে সকালে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি পণ্যবাহী যানবাহন পারাপার হয়েছে। এখন ঘাটে অ্যাম্বুলেন্স ও যাত্রী নেই, তবে দেড় শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে অপেক্ষায় আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন