মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ অব্যাহত রয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ফেরি ও ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন যাত্রীরা। ফেরিতে জরুরি প্রয়োজনীয় যানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও শত শত যাত্রী পদ্মা নদী পার হচ্ছে। এ সময় অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
আমাদের মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি জানান, আজ বুধবার (২৮ জুলাই) ভোর থেকে ঘাটে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ দেখা গেছে। বিগত দুই দিনের ন্যায় গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠছেন যাত্রীরা।
এদিকে ঘাট-সংলগ্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও ওপার থেকে যাত্রীরা এসে কৌশলে চেকপোস্ট এড়িয়ে পার হচ্ছেন। যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নেই চেকপোস্টে।
এক চেকপোস্ট থেকে অপর চেকপোস্ট পর্যন্ত ভেঙে ভেঙে চলছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। এদিকে কিছু ভাড়ায় চালিতে মাইক্রোবাস চলাচলও করতে দেখা গেছে। এসব যানবাহনে যাত্রী হয়রানি চরমে। কয়েক গুণ বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। পথে পথে ভোগান্তির শিকার হয়েও যাত্রীরা ছুটছেন গন্তব্যে।
এ ব্যাপারে মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই জাকির হোসেন দুপুরে বলেন, ঘাটে এ মুহূর্তে ২০ থেকে ২৫টি পণ্যবাহী গাড়ি রয়েছে। এপারে কোনো যাত্রীর চাপ নেই। তবে ওপারে যাত্রীর চাপ রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাবিøউটিসি) শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, নৌরুটে বর্তমানে ৭টি ফেরি চলছে। ফেরিতে পণ্যবাহী গাড়ি ওঠানোর সময় ওপার থেকে যাত্রীরা গাড়ির সঙ্গে ফেরিতে চড়ে এপারে আসছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন