বিধিনিষেধ শিথিলের খবরের পর মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে গতকাল সকাল থেকে উভয়মুখী ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহনের ভিড় দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ কিছুটা কমতে দেখা যায়। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলেও আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চলমান বিধিনিষেধ আজ থেকে আট দিনের জন্য শিথিল করেছে সরকার।
গতকাল সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ঢাকা ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় যেমন ছিলো তেমনি দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ ঈদ করতে বাড়ি ফিরছেন। যাত্রীরা জানান, চেকপোস্টে আগের মতো কড়াকড়ি নেই। জিজ্ঞাসাবাদ ও বাধা ছাড়াই ঘাটে আসছেন যাত্রীরা। ফেরিতে যানবাহনের পাশাপাশি পশুবাহী ট্রাকও দেখা গেছে।
লকডাউন শিথিল হচ্ছে তাহলে আজই কেন বাড়ি ফিরছেন এমন প্রশ্নে ফরিদপুরের শিবচরের যাত্রী সালাউদ্দিন জানান, লকডাউন খুললে অনেক ভিড় হবে তাই একদিন আগেই গ্রামে যাচ্ছি। ঢাকাগামী যাত্রী কাপড় ব্যবসায়ী সফিকুল শিকদার জানান, লকডাউনে দেশে চলে গিয়েছিলাম। আজ থেকে আমাদের মার্কেট খোলা তাই ঢাকা যাচ্ছি। মোল্লার হাট থেকে আসা সজিব জানান, লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় মালিক ছুটি দিয়েছিল তাই গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। কাল থেকে মার্কেট খোলা তাই আবার কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছি।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল মধ্যরাত থেকে লকডাউন শিথিল হচ্ছে। এ কারণে হয়তো চেকপোস্টে কড়াকড়ি কমে গেছে। আর সে জন্য ঘাটে উভয়মুখী যাত্রীর চাপ বেড়েছে। বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, নৌরুটে ১১টি ফেরি চলাচল করছে। সকালে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ছিলো এখন চাপ নেই।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সকাল দিকে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ির চাপ ছিলো এখন স্বাভাবিক আছে। তবে লকডাউন শিথিল হওয়ায় ঘাটে যাত্রীর চাপ দেখা দিতে পারে। তিনি আরও জানান, পার্কিং ইয়ার্ডে শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে, বিধিনিষেধ শিথিল করায় ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে নৌযান পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয় সংস্থাটি। নৌযান চলাচলের ঘোষণায় শিমুলিয়া ঘাটের স্পিডবোট, লঞ্চ ও ট্রলার মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা গেছে। ঘাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, শ্রমিকরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন