শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভরা বর্ষায় কমেছে বৃষ্টিপাত সাগরে সৃষ্টি হচ্ছে লঘুচাপ

বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলভাগ সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে শিগগিরই একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে মেঘ-বৃষ্টির ঘনঘটা বৃদ্ধি পেতে পারে। এদিকে আষাঢ় মাস প্রায় শেষের দিকে। আসছে শ্রাবণ। এখন ভরা বর্ষাকাল হলেও গত কয়েকদিন যাবত দেশে বৃষ্টিপাত কমে গেছে। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, বর্ষার বাহক মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরেও তা দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এরফলে বৃষ্টিপাত আপাতত কম হচ্ছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বেশিরভাগ জেলায় বৃষ্টিপাত হয়নি। কিছু কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টি ঝরে। এ সময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় সিলেটে ৭৩ মিলিমিটার। আর কিশোরগঞ্জে ২৩ মি.মি. ছাড়া দেশে তেমন উল্লেখযোগ্য বৃষ্টি ঝরেনি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৩৫.২ ডিগ্রি সে.। ঢাকার পারদ সর্বোচ্চ ৩৪.৫ এবং সর্বনিম্ন ২৭.৪ ডিগ্রি সে.।

আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এরপরের ৫ দিনে বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
বর্তমানে মৌসুমী বায়ুর একটি বলয় ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরসমূহের জন্য আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, ঢাকা, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
নদ-নদীর পরিস্থিতি

দেশের নদ-নদীসমূহের পানি কোথাও বৃদ্ধি, কোথাও হ্রাস পাচ্ছে, কোথাও স্থিতিশীল রয়েছে। পানি হ্রাস-বৃদ্ধির সাথে বিভিন্ন স্থানে অব্যাহত রয়েছে নদীভাঙন। পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের ১০৯টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল ৩৪টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৭০টিতে হ্রাস পায়। ৪টি স্থানে পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার নদ-নদীর ৫৩টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৫৩টিতে হ্রাস পায়। বৃহস্পতিবার ৬৬টিতে পানি বৃদ্ধি ও ৩৭টিতে হ্রাস পায়।

নদ-নদীসমূহের সার্বিক প্রবাহের বর্তমান অবস্থা ও পূর্বাভাসে পাউবো জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকায় নদ-নদীসমূহের পানি হ্রাস পাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল থাকতে পারে।
গতকাল বিকাল পর্যন্ত পাউবোর তথ্য-উপাত্তে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলে তিস্তা নদী ডালিয়া পয়েন্টে কিছুটা হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ১৬ ৭ সে.মি. নিচে এবং কাউনিয়া পয়েন্টে ৪৯ নিচে প্রবাহিত হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় উজানে উত্তর-পূর্ব ভারতে উল্লেখযোগ্য ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি।

দশ দিনের পূর্বাভাস
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আগামী ১০ দিনের পূর্বাভাসে জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি আগামী বুধবার পর্যন্ত স্থিতিশীল থেকে এরপর বাড়তে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি আগামী ৫ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। আগামী ৭ দিনে ব্রহ্মপুত্র এবং গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীর অববাহিকায় পানি বিপদসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা নেই। ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে। আপাতত এই অববাহিকায় বিপদসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন