বৃষ্টি আর উজানের পানিতে ভাঙছে দেশের নদ-নদী। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলায় নদী ভঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকে নিস্ব হয়েছেন। স্কুল কলেজ, মাদরাসাসহ নানা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বেসরকারি হিসাবে প্রতিবছর প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার হেক্টর জমি নদ-নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। আর এতে লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপুল পরিমান আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়। দেশের পদ্মা ও যমুনার এই ভাঙন রোধে এবার প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আর এ প্রকল্পের আওতায় ঋণ সহায়তা দেবে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
‘ফ্লাড অ্যান্ড রিভারব্যাংক ইরিগেশন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট’ প্রোগ্রামের আওতায় ১ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ঋণ দেবে এডিবি। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যমুনা ও পদ্মা নদীর তীরবর্তী ভাঙন কবলিত জনগণের জীবনমান উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৮১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রকল্পে সরকারি অর্থায়ন ৩১৩ কোটি ২৫ টাকা। প্রকল্প সাহায্য ও অনুদান থেকে আসবে ১ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত চার বছর মেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে এডিবি ঋণ দেবে ১ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং নেদারল্যান্ড সরকারের সহায়তা পাওয়া যাবে ১০৩ কোটি টাকা। নদ-নদী তীরে কাঠামোগত উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক স্বক্ষমতা বৃদ্ধি এবং এর মাধ্যমে বন্যা ও নদ- নদী তীরের ক্ষয় প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন এই প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
জানা গেছে, এ প্রকল্পের আওতায় ৩০ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ, ৮ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ, ৪০ কিলোমিটার এডাপটেশন ওয়ার্ক, ৬ কিলোমিটার ইমারজোন্সি ওয়ার্ক, ৩ কিলোমিটার বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ, একটি অফটেক ম্যানেজমেন্ট ওয়ার্ক সঙ্গে অবকাঠামো নির্মাণ, ২টি পাইলট ল্যান্ড রিকোভারি, ড্রেজিং এর সঙ্গে ক্লোজার সংগ্রহ করা। এছাড়াও দুইটি রেগুলেটর, ফিসপাস নির্মাণ, ১২টি মৎস্য অভয়াশ্রমে নির্মাণ এবং ১০২ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। এরইমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন