বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, নায়েবে আমীর মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, মুফতি শরাফত হোসাইনসহ গ্রেফতারকৃত সকল আলেম-উলামা ও নেতা কর্মীদের ঈদুল আযহার পূর্বেই নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দ। দলের আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী, নায়েবে আমীর মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আব্দুল আজীজ আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা কোরআন ও হাদিসের বলিষ্ট উচ্চারণ জাতির সামনে তুলে ধরতেন এবং আল্লাহর জমিনে তার বিধান কায়েমের প্রচেষ্টা চালাতেন তাদের মধ্যে অনেকেই কারাবন্দী। জেল-জুলুম ও অত্যাচার করে ইসলামের অগ্রযাত্রা ঠেকানো যায় না। আলেম-উলামা ও ইসলামী প্রিয় মানুষকে কারাগারে বন্দী রাখা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর। সুতরাং গ্রেফতারকৃত আলেম-উলামা ইসলামী নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্র ছাত্রীরা নানাবিধ নেশা ও অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। নেতৃবৃন্দ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে ঈদের পর পরই মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, করোনা মহামারীর কারণে দেশে এক হাহাকার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কাজ না থাকায় চুরি-ডাকাতি বেড়ে গেছে। খাদ্যের অভাবে নিজ পরিবারসহ আত্মহত্যার মত জঘন্যতম পাপে জড়িয়ে পড়ছে। করোনা থেকে মুক্তি পেতে সবাইকে মিথ্যা সুদ-ঘুষ প্রতারণা ও অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে এবং আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি তাওবা ইস্তিগফার করতে হবে। নেতৃবৃন্দ আগামী ১৬ জুলাই শুক্রবার সকল মসজিদে করোনা মহামারি থেকে মুক্তি পেতে দোয়া করার জন্য মসজিদের ইমাম ও খতীবদের প্রতি আহবান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন