চিরচেনা গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট ছাড়াও ঢাকা উত্তরে আরও ৯টি অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং ব্লক-ই সেকশন ৩-এর খালি জায়গা, উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমের অংশ, ২ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমে গোলচত্বর পর্যন্ত সড়কের ফাঁকা জায়গা, মিরপুর সেকশন ৬ ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠ, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় অবস্থিত বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা, ভাটারা (সাইদনগর) পশুর হাট, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাচল ব্রিজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনি বাজারমুখী রাস্তার উভয় পাশের খালি জায়গা এবং উত্তরখান মৈনারটেক শহীদনগর হাউজিং প্রকল্পের খালি জায়গা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত মেরাদিয়া হাটে রাজধানীর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু আসা শুরু করেছে। বুধবার (১৪ জুলাই) মেরাদিয়া হাটে গিয়ে দেখা গেছে, বাজার ও দক্ষিণ বনশ্রীর জি ব্লকের আশপাশের রাস্তার দুই পাশে খালি জায়গায় ব্যবসায়ীর গরু এনে রাখছেন। ইজারাদার নির্ধারিত বাঁশের কাঠামোতে গরু ও ছাগল বেঁধে রাখছেন। রাজধানীর রামপুরা খাল সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী মেরাদিয়া কোরবানির পশুর হাট এখনো জমে ওঠেনি। অন্যান্য পশুর হাটের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আগামী ১৭ জুলাইর মধ্যে গরু ও ছাগলে ভরে উঠবে বলে প্রত্যাশা করছেন হাট সংশ্লিষ্টরা। গাজীপুর থেকে গত রাতে ট্রাকে করে ৫টি গরু এনেছেন ব্যবসায়ী মুজিবর। তিনি বলেন, কেবল গরু আনলাম। হাট এখনও জমেনি। গরুর সংখ্যাও কম। আশেপাশের ক্রেতারা এলেও বিক্রির মতো দাম বলছেন না। দেড় লাখ টাকার গরুর দাম বলছেন ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। হাট যখন গরু-ছাগলে ভরে উঠবে তখন ক্রেতা আসবে। আশা করছি বিক্রিও ভালো হবে।
মেরদিয়া হাটের ইজারাদার আওরঙ্গদেব টিটু বলেন, এখনও গরু-ছাগল সেভাবে আসেনি। অন্যান্য হাটে অনেক গরু এলে, আমাদের মেরাদিয়া হাটে এখনও পশু আসছে। করোনার কারণে সেই অর্থে হাটের প্রচারণা করতে পারিনি। কোরবানির হাট জমে উঠলে সার্বিক চিত্র বলতে পারব। এখন পর্যন্ত হাটে গরুও কম, ক্রেতাও কম। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়র সাহেবের নির্দেশনা অনুসরণ করে আমরা কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করছি। আমাদের স্বেচ্ছাসেবক ও পশু বিক্রেতাদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে। হাটের ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জানতে চাইলে টিটু বলেন, সিটি করপোরেশনের ২০০ ভলান্টিয়ার এবং আমাদের পক্ষ থেকেও লোকবল নিয়োগ থাকবে। এখন অল্পস্বল্প গরু আসছে। আমরা আশপাশের এলাকায় মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে প্রচারণা চালাব।
এবার ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে দুটি স্থায়ীসহ ২১টি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে গাবতলী স্থায়ী হাট ছাড়াও ৯টি অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছে। অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণে সারুলিয়ার স্থায়ী পশুর হাট ছাড়াও ১০টি অস্থায়ী হাট বসানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে ঢাকায় ২১টি পশুর হাট বসেছে। দুই সিটি করপোরেশনের ঘোষণা অনুযায়ী, ১৭ জুলাই থেকে ২১ জুলাই (ঈদের দিন) পর্যন্ত ৫ দিন হাটে বেচাকেনা করা যাবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটির যে ১০টি অস্থায়ী হাট নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ, সেকশন ১ ও ২ এর খালি জায়গা। এছাড়াও গোলাপবাগের ডিএসসিসি মার্কেটের পেছনের খালি জায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ সংলগ্ন খালি জায়গা, ধূপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা ও রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা। এছাড়া সারুলিয়ায় স্থায়ী হাট বসছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন