কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিগুলোতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার হতে দেখা গেছে। তবে গতকালের চেয়ে চাপ কিছুটা কম লক্ষ্য করা গেছে। আজ সোমবার (২৬ জুলাই) কঠোর বিধি-নিষেধের চতুর্থ দিনে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিগুলোতে ঢাকামুখী যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ কমতে থাকে। যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ফেরিতে পদ্মা পার হচ্ছেন। সোমবার সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীরা বাংলাবাজার ঘাট হয়ে ফেরিতে গাদাগাদি করে শিমুলিয়া আসতে দেখা গেছে। তবে দক্ষিণবঙ্গ মুখী যাত্রীর চাপ নেই।
এদিকে লকডাউনের প্রথম দিন থেকে এ নৌপথে সকল লঞ্চ বন্ধ থাকায় ও অল্প সংখ্যক ফেরি চলাচল করায় ফেরিতে যাত্রীর গাদাগাদি লক্ষ্য করা গেছে।
শিমুলিয়া ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ডগুলো শূণ্য। কোন ধরনের যানবাহন নেই। মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ, থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, আনসার ও বিআইডাব্লিউটিসি কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। জরুরি সেবার আওতায় পণ্যবাহী পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স ঘাটে আসলেই পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ফেরিতে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ৭টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে যানবাহন পারাপারে অপেক্ষায় নেই।
লৌহজং থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন জানান, কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী লৌহজং উপজেলার মালিরঅংক মোড়,মাওয়া সড়কে খানবাড়ী মোড় ও শিমুলিয়া মোড়ে চেকপোস্টে বহাল রেখেছি। জরুরি সেবার আওতায় সে সকল গাড়ি ছাড়া হচ্ছে। তাছাড়া সকল গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন