কঠোর লকডাউনের মধ্যেও সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে সিলেটে। নগরীর অনেক স্থানে দোকানের শাটার অর্ধেক (হাফ) খুলে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ অর্ধেকের তোয়াক্কা না করে পুরো শাটারই খোলা রাখছেন। ক আজ সোমবার লকডাউনের পঞ্চম দিন চলছে। লকডাউনের প্রথম দু-তিনদিন সিলেটে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা ছিল হাতেগোণা। একেবারেই কম ছিল মানুষের আনাগোনাও। কিন্তু গত রোববার থেকে ধীরে ধীরে সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। চলাচল বেড়েছে মানুষের। দোকানপাট খোলা হচ্ছে। সেই ধারা অব্যাহত আছেও আজ সোমবারও। আজ সকাল থেকে দুপুর অবধি সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, লামাবাজার, জেলরোড, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, মদিনা মার্কেট প্রভৃতি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউনের বিধিনিষেধ ভেঙে বাইরে ঘোরাঘুরি করছে মানুষ। অনেকের মুখেই নেই মাস্কও। বিশেষ করে অলিগলিতে আড্ডা দিতে দেখা গেছে তরুণ-যুবকদের। অনেক গলিতে খোলা রাখা হয়েছে।চায়ের টং দোকান। নগরীর সড়কে প্রত্যক্ষ করা গেছে।যানবাহনের চাপও। ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারের সাথে সিএনজি অটোরিকশার দাপট বাড়ছে সড়কে। রিকশা তো আছেই। এদিকে, নগরীর বন্দরবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় কাপড়, ইলেকট্রিক পণ্যের দোকানের শাটার অর্ধেক খোলা রেখে চলছে বেচা। কাপড়ের অনেকগুলো দোকান দেখা গেছে খোলা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, লকডাউন বাস্তবায়নে তারা মাঠে কাজ করছেন। যারা অযথা বাইরে বের হচ্ছেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে জরিমানা করা হচ্ছে তাদেরকে। প্রতিদিন অপ্রয়োজনে বের হওয়া যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে, আটক করা হচ্ছে যানবাহন। এ প্রসঙ্গে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে খুবই সক্রিয় পুলিশ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে ব্যবস্থা নিচ্ছি আমরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন