আহমেদ জামিল
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ভারত কর্তৃক দখলিকৃত কাশ্মীরের উরি অঞ্চলে রহস্যজনক সহস্ত্র হামলায় ১৮ ভারতীয় সৈন্য নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে যুদ্ধ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, মনে হচ্ছে, দিন যতই অতিবাহিত হচ্ছে ক্রমেই তা থিতিয়ে আসছে। শোনা যাচ্ছে, পেছন দরজা দিয়ে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনা শুরু করেছেন। এই যুদ্ধ উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের পাকিস্তান সফরকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে ভাবা হচ্ছে। অতীতেও ভারতের পার্লামেন্ট ভবনে হামলা, মুম্বাই হামলা এবং পাঠানকোট হামলা ইস্যুতে ভারত পাকিস্তানের ওপর সামরিক হামলার পরিকল্পনা করেও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে যায়। এবারও এমনটি ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে হয়। এর কারণ প্রচলিত যুদ্ধের অস্ত্র ভা-ারে পাকিস্তান পিছিয়ে থাকলেও অপ্রচলিত যুদ্ধের জন্য পারমাণবিক অস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে এখন একটা সামরিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সর্বোপরি সামরিক সামর্থ্যরে বাস্তবতার বিষয়টি মাথায় রেখেই ভবিষ্যৎ পাক-ভারত যুদ্ধে পাকিস্তান তার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে নোফার্স্ট ইউজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। এ কারণে বলা হয়ে থাকে পরমাণু অস্ত্র হয়ে উঠেছে সামরিক কৌশলগত দিক থেকে পাকিস্তানের জন্য শ্রেষ্ঠ নিবারক তথা প্রতিরোধক। বড় কথা হচ্ছেÑ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীনসহ অন্যান্য বিশ্ব মোড়ল পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ভবিষ্যৎ পরমাণু যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে ভালোভাবেই জ্ঞাত। এর ফলে শুধু ভারত-পাকিস্তান নয়, পরমাণু যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতি বহন করতে হবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বহু দেশকে। সুতরাং ভয়াবহ পরিণতির কথা বিবেচনা করে বিশ্ব মোড়লরা তাদের ভূ-রাজনৈতিক, সামরিক কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থে কোনোভাবেই চাইছে না পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কোনো ধরনের প্রচলিত ও অপ্রচলিত যুদ্ধ সংঘটিত হোক।
বলাবাহুল্য যে, ভবিষ্যৎ পাক-ভারত যুদ্ধ প্রচলিত যুদ্ধের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, তা একপর্যায়ে অপ্রচলিত যুদ্ধ তথা পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নেবে। তাই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে নতুন করে কোনো যুদ্ধ বাধুক তা বিশ্ব মোড়লরা কোনোভাবেই চাচ্ছে না। সুতরাং দুই দেশকে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত রাখতে বিশ্ব মোড়লদের নেপথ্য ভূমিকা ও চাপ অতীতের মতো এবারও থাকতে পারে। ভারত এখনো চাইছে সন্ত্রাসবাদের মদদ ও আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে পাকিস্তানকে চিহ্নিত করে বিশ্ব সম্প্রদায় তথা আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে দেশটিকে বিচ্ছিন্ন করতে। সেই সাথে ভারত থেকে প্রবাহিত হওয়া অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদীগুলোর পানি সরবরাহ বন্ধ করে পাকিস্তানকে মরুভূমিতে পরিণত করাও তাদের লক্ষ্য। ভারতের কাছ থেকে আন্তর্জাতিক নদীর পানি বণ্টনে ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশেরও রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতোমধ্যে সিন্ধু নদে পানি বণ্টন বিষয়ে পাকিস্তানের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তি পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলেছেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ কাজটি ভারতের জন্য সহজ হলেও পাকিস্তানের বেলায় তা তত সহজ নাও হতে পারে। যা হোক, ভারত এই সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা রাষ্ট্রের তকমা এঁটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তথা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন তথা একঘরে করার পরিকল্পনা নিয়ে যেভাবে আঁটঘাট বেঁধে নেমেছিল তা তেমন সাফল্য পায়নি। এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় যাওয়ার আগে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বর্তমান উত্তেজনাকর সম্পর্ক সৃষ্টির নেপথ্য পটভূমির ওপর কিছুটা আলোকপাত করা যাক।
অতীতের মতো এবারও পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ উত্তেজনা সৃষ্টির মূলে কাজ করেছে কাশ্মীর ইস্যু। গত ৮ জুলাই কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী তরুণ নেতা বুরহান ওয়ানিকে ভারতের নিরাপত্তা রক্ষীরা পাশবিক কায়দায় হত্যা করার পর কাশ্মীরে শুরু হয় ব্যাপক ভারতবিরোধী বিক্ষোভ। ভারতীয় সেনা ও নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে প্রাণ দিতে হয় শতাধিক কাশ্মীরিকে। যাদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ নারী ও শিশু। এখনো ভারতীয় সেনা ও নিরাপত্তা রক্ষীরা কাশ্মীরিদের ওপর গণহত্যা ও দমন-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। আর ভারতীয় সেনাদের অত্যাচার এবং ‘পেলেট’ বন্দুকের দাপটে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে অসংখ্য কাশ্মীরি তরুণ-তরুণি। গত বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী কাশ্মীরে অন্তত ৭০০ মানুষের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে ‘পেলেট’-এর গুলিতে। উল্লেখ্য, কাশ্মীরের বেসামরিক বিক্ষোভ দমাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ব্যবহার করে ‘পেলেট’ বা এক ধরনের ধাতব যা ব্যাপকভাবে কেড়ে নেয় মানুষের দৃষ্টিশক্তি।
কাশ্মীরে এখন ভারতের দখলদারিত্ব, গণহত্যা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে আজাদীকামী কাশ্মীরিদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ চরমে এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা মানবাধিকার লংঘনের জন্য ভারত সরকারের নিন্দায় মুখর। সে পটভূমিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভারত দখলিকৃত উরি এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড সদর দপ্তরে কে বা কারা আকস্মিক হামলা চালায়। এই হামলায় ১৮ জন সেনাসদস্য নিহত এবং আরও অনেকেই আহত হয়। ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি কঠোর নিরাপত্তাবলয় ভেদ করে এই হামলার বিষয়ে খোদ পাকিস্তানে নয়, ভারতেও কোনো কোনো মহল প্রশ্ন তুলেছে।
পাকিস্তান সরকারের ভাষ্য হলো, কাশ্মীরে সীমাহীন মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারত যখন কোণঠাসা হয়ে পড়ে সে প্রেক্ষাপটে উরিতে হামলার ঘটনা ঘটিয়ে ভারত বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে চালিত করতে চেয়েছে। চিরাচরিত কায়দায় ভারত এই হামলার দায়ভার পাকিস্তানের ঘাড়ে চাপিয়েছে। ভারতের তরফ হতে বলা হচ্ছে, হামলাকারী ৪ ব্যক্তি পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জয়স-ই মহম্মদের সদস্য এবং এরা পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের কাশ্মীরে প্রবেশ করেছে। ভারতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল কপিল কেকের বরাত দিয়ে হিন্দুস্থান টাইমস প্রশ্ন তুলেছে, চার জঙ্গির দাফনের জন্য এত তাড়াহুড়া করা হলো কেন? তাড়াহুড়া না করে এর বদলে তারা এই লাশগুলো সংরক্ষণ করে পাকিস্তানের কাছে জবাবদিহি চাইতে পারত। অন্যদিকে কোনো কোনো নিরপেক্ষ বিশ্লেষক এ প্রশ্নও তুলেছেন যে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সম্মেলনের আগে পাকিস্তান এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটিয়ে ভারতের হাতে পাকিস্তানবিরোধী কোনো ইস্যু তুলে দেয়ার মতো অহম্মকিপনা কীভাবে করতে পারে। বরং পাকিস্তান চেয়েছিল কাশ্মীরে মানবাধিকার লংঘনের তথ্য-প্রমাণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরে কূটনৈতিকভাবে ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে।
তারপরও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে কাশ্মীর ইস্যু বলিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করেন এবং কাশ্মীরিদের ওপর ভারতীয় সৈন্য ও নিরাপত্তারক্ষীদের ভয়াবহ নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরে উপস্থিত বেশির ভাগ দেশের সহানুভূতি কুড়ান। এমন কি জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনও কাশ্মীরিদের ওপর নির্মমতার ডকুমেন্টারি দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বিপরীতে উরিতে হামলার ঘটনার সাথে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ভারত কোনো সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। যে কারণে ভারত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মতো পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে সহানুভূতি ও সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য উভয়েই উরির সন্ত্রাসী ঘটনার নিন্দা জানালেও তাদের কেউই ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেনি।
বরং যুক্তরাজ্য তথা গ্রেট ব্রিটেন উরির ঘটনাকে ভারত শাসিত কাশ্মীরের ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে পরোক্ষভাবে জানিয়ে দিল যে, কাশ্মীর ভারতের কোনো রাজ্য এবং অখ- ও অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়। যুক্তরাজ্যের এ ধরনের বক্তব্যে ভারত বেশ বিব্রত। ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক আঘাত এসেছে কয়েক দশকের মিত্র রাশিয়ার তরফ হতে। ভারতের আপত্তি উপেক্ষা করে এই প্রথম রাশিয়ার সৈন্যরা পাকিস্তানের সেনাদের সাথে যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর জন্য পাকিস্তানে অবস্থান করছে। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ একে ওয়াশিংটন, দিল্লি ও তেলআবিব আঁতাতের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে সম্ভাব্য বেইজিং, ইসলামাবাদ ও মস্কোর সামরিক কৌশলগত মৈত্রী গড়ে ওঠার প্রতি ইঙ্গিত মনে করছেন।
শুধু তাই নয়, রাশিয়া পাকিস্তানকে এমআই ৩৫ অগটাক হেলিকপ্টার এবং এমইউ ৪++ জেনারেশন মাল্টিপারপাস ফাইটারস সরবরাহ করবে। তাই এরই পরিপ্রেক্ষিতে বলা চলে, কয়েক দশকের দিল্লি ও মস্কো আঁতাত এখন ভাঙনের মুখে। সব থেকে বড় কথা হলো, চীন যে পাকিস্তানের পরীক্ষিত বন্ধু তার প্রমাণ আবারো মিলল চলমান পাক-ভারত যুদ্ধ উত্তেজনার পটভূমিতে। চীন সরকার ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, বহিরাক্রমণের মুখে চীন পাকিস্তানের পাশে থাকবে এবং সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে। শুধু তাই নয়, কাশ্মীর ইস্যুতে চীন পাকিস্তানের অবস্থানকে আবারো সমর্থন জানিয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে বলা হচ্ছে, চীন পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে সম্প্রতি বিশাল অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করেছে। ৪,৬০০ কোটি ডলার ব্যয়ে ‘চায়না-পাকিস্তান’ ইকোনোমিক কোরিডরকে পাকিস্তানে চীনের বিশাল বিনিয়োগ হিসেবে দেখা হয়। এর পাশাপাশি এই প্রদেশের গোয়াদরে চীন বিশাল নৌঘাঁটি গড়ে তুলেছে।
তাই পাকিস্তানে ভারতের সামরিক হামলার ফলে সৃষ্ট যুদ্ধ শুধুমাত্র পাকিস্তানের সাথে সীমাবদ্ধ না থেকে, এক পর্যায়ে চীনের সাথে যুদ্ধেও রূপ নিতে পারে। ভারতও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন। প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, চীন-পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতার কারণে ভারতের ৪৮ শতাংশ জনগণ মনে করে ভারতের জন্য যুদ্ধে জড়ানো বিপজ্জনক। মাত্র ২১ শতাংশ ভারতীয়র মতে, এটা তেমন বড় সমস্যা নয়। অন্যদিকে ওআইসি ভারতের সামরিক আগ্রাসন মোকাবিলা এবং কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে। ওআইসি কাশ্মীরে অবিলম্বে ভারতকে দমন-নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সংঘাতপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করলেও দুই দেশই পাকিস্তানকে সমর্থন জানিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। এটি সম্ভব হয়েছে পাকিস্তানের সফল কূটনৈতিক প্রয়াসের কারণে।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া আর কোনো উল্লেখযোগ্য দেশ কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সমর্থনে এগিয়ে আসেনি। এতে করে ইসলামাবাদে আসন্ন সার্কশীর্ষ সম্মেলন ব্যাহত হতে পারে। এর ফলে চূড়ান্ত বিচারে সার্কই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পর্যালোচনার নিরিখে এ কথা বলা চলে যে, উরি ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোণঠাসা করার যে পরিকল্পনা নিয়েছিল আপাতত তা মাঠে মারা গেছে। পাকিস্তানের দক্ষ কূটনীতির কাছে ভারত দারুণভাবে মার খেয়েছে। এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে কাক্সিক্ষত সাড়া না মেলা, পাকিস্তানের সামরিক ক্ষমতা এবং চীন-পাকিস্তান কৌশলগত মৈত্রী ইত্যাদি কারণে ভারত হুংকার দিয়েও এখন পিছু হটছে।
লেখক : কলামিস্ট
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন