করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। কঠোর লকডাউন ও বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলার রাস্তাঘাট, দোকানপাটে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে লোকজনকে রাস্তায় বের হতে দেখা যায়। এদিকে লকডাউনে প্রশাসনের শিথিলতায় জনসমাগম বাড়ছে বলে অভিমত সচেতন মহলের । জনসমাগম ঠেকাতে তৎপর রয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এই বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে রাস্তাঘাটে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বের হচ্ছে মানুষ।
মানুষের ঘোরাঘুরি ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন।
দোকানপাট খোলা রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। দুই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চললেও সর্বত্র ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে। পুলিশ দেখলে দোকানপাট বন্ধ হচ্ছে, আবার একটু পর দোকান খুলে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন বাজারগুলোতে যাত্রী নিয়ে অসংখ্য ইজিবাইক ও রিকশা চলাচল করছে। বাজারগুলোতে প্রচুর জনসমাগম দেখা গেছে।
রামগতি ও কমলনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি ) বিজিবি ও পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
শনিবার সকাল থেকে রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার,জমিদারহাট,কেরামতিয়া,
রামদয়াল বাজার, হাজিগন্জ ও আযাদনগর এবং কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট,
করুনানগর,চরলরেন্স,করইতলা ও তোরাবগন্জ বাজার ঘুরে বিভিন্ন মোড়ে দেখা গেছে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল,দোকানপাট খোলা রাখা ও রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। এছাড়া পাড়া-মহল্লা,অলিগলিতে দোকানপাট খোলা রাখছে, মানুষের আড্ডাও বাড়ছে। উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে জেল জরিমান করছেন ।
কমলনগর উপজেলার ফজুমিয়ারহাট চৌরাস্তা মোড়ে তীব্র যানজট দেখলেই বুঝা যায় প্রশাসনের তৎপরতা কেমন? শতাধিক সিএনজি ও অটোরিকশা ফজুমিয়ারহাট চৌরাস্তা দখল করে তীব্র যানজট তৈরী করে রাখেন। আর ঐ স্থানে জনসমাগম ও ব্যাপক রয়েছে। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলও জোরদার রয়েছে।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল মোমিন ও কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ মানাতে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। প্রথমে আমরা মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এখন আমরা মামলা দিচ্ছি, জরিমানা করছি। বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন