বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদিগন্ত

প্রবীণরা হোক প্রেরণার উৎস

প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোহাম্মদ শাহী নেওয়াজ

আজ ১ অক্টোবর, ২৭তম ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ (ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ফধু ড়ভ ড়ষফবৎ ঢ়বৎংড়হং)। বৈশ্বিক সামাজিক অভিভাবক জাতিসংঘ প্রবীণ ব্যক্তিদের প্রতি যথাযথ সম্মান ও তাদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রতিবছর এ দিবসটি পালন করে চলছে। ১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ১ অক্টোবরকে বিশ্ব প্রবীণ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯১ সালের ১ অক্টোবর থেকে “আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস” পালিত হয়ে আসছে। আজ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সমাজসেবা অধিদফতর ও বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের উদ্যেগে রাষ্ট্রীয়ভাবে সমগ্র দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘বয়স বৈষম্য দূরকরণ’ (ঞধশব ধ ংঃধহফ অমধরহংঃ অমবরংস)।
মহান স্রষ্টা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। এ জগতে অবস্থানকালীন মানুষের সময় হল জীবন। অর্থাৎ জীবন হলো জন্ম ও মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময়। মানব জীবনচক্র মূলত কয়েকটি পর্যায় ক্রমিক স্তরের সমষ্টি। যেমন শৈশব, কৈশোর, যৌবন, পৌঢ়ত্ব ও বার্ধক্য ইত্যাদি। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই জীবনের একটা স্তর অতিক্রম করে অন্য স্তরে উপনীত হতে হয়। জীবন চক্রের সর্বশেষ ধাপ বা পরিণতি হলো বার্ধক্য। মানব জীবনে বার্ধক্য হচ্ছে সবচেয়ে নাজুক ও স্পর্শকাতর অবস্থা। জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা মোতাবেক ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সীরা হলেন প্রবীণ। এই বয়সেই শুরু হয় বার্ধক্যের যাত্রা। প্রবীণ জনগোষ্ঠী এ সময় শারীরিক, মানসিক, আর্থিক, সামাজিক, নৈতিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যার শিকর করে। আজ যে সকল প্রবীণ ব্যক্তি শারীরিকভাবে অক্ষম, দুর্বল এবং আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, তারা আমাদেরই অতি আপনজন। তারাই আমাদের পিতা-মাতা, দাদা-দাদি, নানা-নানি ও সমাজের পরম শ্রদ্ধেয় গুরুজন।
আধুনিক সমাজ দ্রুত পরিবর্তনশীল। ক্রম পরিবর্তিত সমাজ ব্যবস্থায় দেশে প্রবীণ বা বার্ধক্য সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সচেতনতা, চিকিৎসা প্রযুক্তি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ফলে দেশের মানুষের বর্তমান গড় আয়ু বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯২০ সালে এ দেশের মানুষের গড় আয় ছিল মাত্র ২০ বছর। বর্তমানে এ দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭০.৭ বছর। বর্তমানে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লক্ষ। যাহা মোট জনসংখ্যার ৮%। বিশ্বে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এই সংখ্যা বৃদ্ধির হার উদ্বেগজনক। ১৯০১ সালে প্রবীণ ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১২ লক্ষ, ১৯৫১ সালে ২৮ লক্ষ ৬০ হাজার, ১৯৭৪ সালে ৪৯ লক্ষ ৬০ হাজার, ২০০১ সালে ৮০ লক্ষ। অর্থাৎ আমাদের প্রবীণ সংখ্যা বৃদ্ধির হার ৪.৪১% প্রায়। ধারণা করা যাচ্ছে যে ২০৫০ সালে প্রবীণ ব্যক্তির সংখ্যা হবে ৪.৫০ কোটি এবং ২০৬১ সালে হবে ৫.৬১ কোটি। সভ্যতার বদৌলতে ক্রম বর্ধিত হচ্ছে আমাদের জীবনকাল। জীবনে সাথে যোগ হচ্ছে অতিরিক্ত জীবন। কিন্তু বার্ধক্য বয়সে প্রবীণদের জীবন প্রত্যাশা আদৌ পূর্ণ হচ্ছে না। তাই প্রয়োজন প্রবীণ বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা। অন্যথায় এই বর্ধিত প্রবীণ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
বর্তমান বিশ্বে প্রবীণের সংখ্যা ৬০০ মিলিয়ন। যা ২০২৫ সালে দ্বিগুণ হবে এবং ২০৫০ সাল নাগাদ হবে ২ বিলিয়ন। যার অধিকাংশ বসবাস করবে উন্নয়নশীল দেশে। প্রবীণ জনগোষ্ঠীর বার্ধক্য, স্বাস্থ্য সমস্যা, কর্মক্ষমতা, পরিবার হতে বিচ্ছিন্নতা ও একাকিত্ব ইত্যাদি বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভাবনা শুরু হয় বিগত শতাব্দীর ৮০ দশক হতে। ১৯৮২ সালের অষ্ট্রীয়ার রাজধানী ভিয়েনা শহরে অনুষ্ঠিত হয় ‘প্রথম বিশ্ব প্রবীণ সম্মেলন’। এই ধারাবাহিকতায় ২০০২ সালে স্পেনের মাদ্রিদ শহরে বিশ্বের ১৫৯টি দেশের প্রতিনিধির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় ‘দ্বিতীয় বিশ্ব প্রবীণ সম্মেলন’। এই সম্মেলনেই গৃহীত হয় প্রবীণবিষয়ক সুসংবদ্ধ আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা ও সদস্য রাষ্ট্রসমূহের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। বাংলাদেশ সরকার উক্ত ঘোষণায় রাষ্ট্রীয় সমর্থণ ব্যক্ত করে। জাতিসংঘ বিশ্ববাসীর বার্ধক্য সক্রিয় এবং সস্তিময় (অপঃরাব অমবরহম ধহফ ঐবধষঃযু অমবরহম) করার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে। শুরু হয় সদস্য রাষ্ট্রের তাগাদ দেয়া।
আজকের নবীনই আগামীদিনের প্রবীণ। বাস্তবতা হচ্ছে, প্রবীণ ব্যক্তিরা ক্রমবর্ধমান হারে অবহেলিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত এবং বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। কিন্তু কেন এই বৈষম্য? তারাই আমাদের লালন-পালনকারী। এই সমাজ উন্নয়নের সহ-অংশীদার। বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তিদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে অর্থনৈতিক সমস্যা, আবাসিক সমস্যা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সমস্যা, মনো-সামাজিক সমস্যা। বার্ধক্যের কারণে কর্মক্ষমতা হ্রাস এবং আয়ের সুযোগ সীমিত। তাই আর্থিক অনটন তাদেরকে ক্রমাগত গ্রাস করে। একজন ব্যক্তি জীবনে পারিবারিক ব্যয় মিটিয়ে অনেক ক্ষেত্রে একটি আবাসগৃহ নির্মাণে ব্যর্থ হয়। অথবা প্রজন্মের আবাসন ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই আবাসিক সংকটে পতিত হন। বার্ধক্য মানেই শারীরিক অবনতি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত হ্রাস পাওয়া। যেমন দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণ শক্তি, সঙ্গতি শক্তি এবং হজম শক্তি লোপ পায়। রক্তচাপ ও হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। বার্ধক্যের মনো-সামাজিক সমস্যা অত্যন্ত প্রকট। কর্মক্ষমতার অবসান, আর্থিক দৈন্যাবস্থা, শারীরিক অক্ষমতা, রোগব্যাধির যন্ত্রণা, পিতা-মাতাকে এড়িয়ে চলা বা যাদের সন্তান পৃথকভাবে বসবাস করে অথবা বিদেশে অবস্থান করছে ইত্যাদি নানাবিধ কারণে তারা চরম অসহায় ও নিঃসঙ্গ। তাছাড়া এ উপমহাদেশে প্রথাগতভাবে নারীরাই পরিবারের প্রবীণ ব্যক্তিদের সেবাশুশ্রƒষায় নিয়োজিত ছিল। কিন্তু দেশে নারী জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় প্রবীণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এবং পারিবারিক সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
জরা বিজ্ঞানীদের মতে বার্ধক্য কোন রোগ বা অসুস্থতা নয়। বার্ধক্যের উপর আমাদের কারো নিয়ন্ত্রণ নেই। যাহা অবশ্যম্ভাবী জীবনের শেষ পরিণতি। বিশ্বের সর্বত্রই প্রবীণরা এমন পরিবেশে থাকে যাহা তাদের প্রত্যাশার বিপরীত। আমাদের প্রচলিত সনাতনী সামাজিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, মূল্যবোধ ও আদর্শ, ধর্ম, যৌথ পরিবার ব্যবস্থায় বৃদ্ধদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান আমাদের গর্বিত দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিককালে শিল্পায়ন ও নগরায়নের প্রভাব, প্রাশ্চাত্য সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ প্রচলিত যৌথ পরিবার ব্যবস্থার ফাটল ধরেছে। অতীতে প্রবীণরা এই যৌথ পরিবারেই সেবা এবং সহায়তা পেতেন। প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন বেশি যতœ নেওয়ার রীতি আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় প্রচলিত ছিল। যৌথ পরিবার প্রথা ভাঙনের ফলে প্রবীণরা হারাচ্ছে তাদের প্রতি সহানুভূতি, বাড়ছে অবহেলা, আর শিকার হচ্ছেন বঞ্চনার। সামাজিক মূল্যরোধের অবক্ষয়ের ধরায় দেখা যাচ্ছে প্রবীণেরা প্রথমত নিজ পরিবারেই তাদের ক্ষমতা ও সম্মান হারাচ্ছেন। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন ধীরে ধীরে সমাজের সকল কর্মকা- হতে।
বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বে মানবাধিকারের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সংবিধানের ১৫(ঘ) অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে,“সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বৈধব্য, মাতৃ-পিতৃহীনতা বা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্যান্য পরিস্থিতি জনিত আয়ত্ত্বাতীত কারণে অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে সরকারি সহায়তা লাভের অধিকার” আছে নাগরিকের। সাংবিধানিক বাধ্যবাদকতায় দেশের বয়োজ্যৈষ্ঠ, দুস্থ, স্বল্প উপর্জনক্ষম বা উপার্জনে অক্ষম প্রবীণ ব্যক্তিদের জন্য চালু করা হয় বয়ষ্ক ভাতা কার্যক্রম। দেশে বৃহত্তর পরিসরে সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির প্রবর্তক হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার উদ্যোগেই সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বিগত ১৯৯৭-১৯৯৮ অর্থ বৎসরে চালু করে ‘বয়স্ক ভাতা’ কার্যক্রম। যাহা প্রবীণ কল্যাণে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও দেশের বৃহত্তম সামাজিক নিরাপত্তা মূলক কর্মসূচি। এই কর্মসূচির আওতায় চলতি ২০১৬-২০১৭ অর্থ বৎসরে ৩১ লক্ষ ৫০ হাজার প্রবীণ ব্যক্তির মাঝে মাসিক ৫০০ টাকা হারে মোট ১৮৯০ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে। সন্তান কর্তৃক প্রবীণ ব্যক্তিদের ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করার জন্য সরকার প্রণয়ন করেছে ‘পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন ২০১৩’। নাগরিক হিসেবে আমরা শুধু নৈতিকভাবে নয় বরং আইনগতভাবে পিতা-মাতার ভরণ-পোষণে বাধ্য। তাছাড়া প্রবীণ ব্যক্তিদের অধিকার, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য সরকার অনুমোদন করেছে, ‘জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা, ২০১৩’। উপমহাদেশের খ্যাতনামা প্রবীণ দরদি হলেন স্বনামধন্য চিকিৎসাবিদ ডা. এ কে এম আবদুল ওয়াহেদ। তিনি বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষীসংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চলছে প্রবীণ ব্যক্তিদের সুলভ মূল্যে চিকিৎসাসেবা ও সুনিবিড় পরিচর্যা। চলছে দেশব্যাপী প্রবীণ অধিকার সংরক্ষণে সামাজিক আন্দোলন।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহে বার্ধক্যে উপনীত পরম শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতার প্রতি সেবা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পবিত্র ইসলাম ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআনের সূরা বনী-ইসরাইলে (২৩/২৪) আয়াতে মহান প্রতিপালকের ঘোষণা “তাহাদিগের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হইলে তাহাদিগকে ‘উফ্’ বলিও না এবং তাহদিগকে ধমক দিওনা তাহাদিগের সহিত বলিও সম্মানসূচক ন¤্র কথা” এবং প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা কর, “হে! আমার প্রতিপালক তাহাদের প্রতি দয়া কর, যেভাবে শৈশবে তাহারা আমাকে প্রতিপালন করিয়াছেন।” বৌদ্ধ ধর্মীয় গ্রন্থ ত্রিপিটক গ্রন্থের সূত্র পিটকের মহামঙ্গল সূত্রে উল্লেখ, “পিতা-মাতার প্রতিপালন, সেবা ও ভরণ-পোষণ উত্তম মঙ্গল কর্ম”। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রাচীন ধর্মীয় গ্রন্থ বেদ শাস্ত্রের উপনিষদ (জ্ঞান) শাখায় উল্লেখ, “পিতা স্বর্ণ, পিতা ধর্ম, পিতাহি : পরসংতপঃ পিতোরি প্রীতিমাপন্নে প্রিয়ন্তে সর্ব দেবতা”। সমাজের সকল ধর্মের মানুষ ধর্মীয় জ্ঞান ও চর্চা হতে দূরে সরে যাচ্ছে। মূলত ধর্মীয় গ্রন্থে পিতা-মাতা তথা প্রবীণদের সেবা ও ভক্তি শ্রদ্ধার নির্দেশ রয়েছে।
আধুনিক ও নবীন সমাজ আমরা সকলে দায়বদ্ধ বর্তমান প্রবীণ সমাজের নিকট। প্রবীণদের জীবনকাল বিসর্জনের মাধ্যমেই আমাদের এই উন্নত সমাজ। তাদের আত্ম-উৎসর্গিত জীবনের চরম সুবিধাভোগী আমরাই। তারাই আমাদের শিশুকাল, শৈশব ও কৈশোরের লালনকারী। এই সুন্দর জীবনের রচয়িতা। তাদের প্রতি কোন বৈষম্য নয়, করুণা নয় বা অবহেলা নয়। বরং প্রদর্শন করতে হবে নৈতিক, আদর্শিক ও ধার্মিক মহা প্রতিদান। তারাই আমাদের জীবনের শত প্রেরণার নিরন্তন উৎস, জীবন্ত কিংবদন্তি। সার্বজনীন প্রবীণ সেবাই হোক আজকের দিনে আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।
 লেখক : উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, লামা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন