সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বরিশালে সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলে ১৮ আগষ্ট থেকে ধর্মঘটের ডাক

৯ মাসের বেতন বকেয়া

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২১, ৮:১২ পিএম

করোনা সংকটে টানা ১৩ মাস বন্ধ থাকার পর চালু হওয়া বরিশালের সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের শ্রমিকদের মধ্যে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গত ২৫ মার্চ মিলটি পুনরায় চালুর পর আশ্বাস দিয়েও ৯ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়নি বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। এ অবস্থায় বকেয়া বেতনের দাবীতে শ্রমিকরা আগামী ১৮ আগষ্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। সোনারগাঁও টেক্সটাইল শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক বেল্লাল হোসেন শুক্রবার নগরীতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন।

তিনি জানান, সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের শ্রমিকদের ১১ মাসের বেতন বকেয়া ছিল। গত ২৫ মার্চ মিলটি পুনরায় চালুর সময় এক মাসের এবং ওই মাসের শেষ সপ্তাহে আরও একমাসের বেতন পরিশোধ করা হয়। অবশিষ্ট ৯ মাসের বেতন প্রতিমাসের মূল বেতনের সাথে পর্যায়ক্রমে পরিশোধের আশ্বাস দেয়া হলেও সে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কর্তৃপক্ষ আর কোন বেতন পরিশোধ করেননি। উপরন্ত শ্রমিকদের দিয়ে এখন ৮ঘন্টার বদলে ১৮ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করানো হচ্ছে হচ্ছে অভিযোগ বেল্লাল হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকরা আগামী ১৭ আগষ্টের মধ্যে বকেয়া বেতন প্রদান সহ ৮দফা দাবী জানান। অপর দাবীগুলো হচ্ছে, ৮ ঘন্টা কাজ করা ও মজুরী স্কেল অনুযায়ী বেতন প্রদান, কল্যাণ তহবিলের চূড়ান্ত হিসাব প্রদান, অব্যাহতি দেয়া শ্রমিক-কর্মচারীদের সমুদয় পাওনা পরিশোধ, প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বেতন ও প্রতিবছরে জানুয়ারীতে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান এবং মিল শ্রমিকদের ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রেশন প্রদান।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের শুরুতে গতবছর ২৭ মার্চ সারাদেশ লকডাউন ঘোষণা করা হলে সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলও বন্ধ করে দেয়া হয়। এ অবস্থার মধ্যেই ৩০ মার্চ প্রতিষ্ঠানটি লে অফ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। এনিয়ে শ্রমিক কর্মচারীর দীর্ঘ সময় আন্দোলন সংগ্রাম সড়ক অবরোধ সহ নানা কর্মসূচী পালন করলে জেলা প্রশাসন ও শ্রম অধিদপ্তরের মধ্যস্থতায় গত ২৫ মার্চ থেকে প্রতিষ্ঠানটি চালু করা হয়।

সোনারগাঁও টেক্সটাইল শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক বেল্লাল হোসেন জানান, এ মিলে মোট ৩টি ইউনিট থাকলেও গতবছর লে-অফ হওয়ার আগ পর্যন্ত দুটি ইউনিট চালু ছিল। গত ২৫ মার্চ মিলটি পুনরায় চালুর পর অর্ধেক শ্রমিক ছাটাই করে বর্তমানে সাড়ে ৩শ শ্রমিক সহ প্রায় ৪০০ জন কর্মরত আছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন