সরকারি নির্দেশে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে আগামী ১৯ আগস্ট থেকে খুলছে দেশের সকল পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো। তবে সুন্দরবনে যেতে পর্যটকদের আপাতত এ মাসটা অপেক্ষা করতে হবে। এখনও সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়ার নির্দেশনা আসেনি।
অন্যদিকে, গত ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মৎস্য, কাঁকড়া আহরণ নিষিদ্ধ রয়েছে, এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পর্যটকরাও রয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে বন বিভাগ এমনটাই জানিয়েছেন।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ থেকে ৩১ অক্টোবর সুন্দরবনে লকডাউন জারি করা হয়। নভেম্বরে তা সাময়িক প্রত্যাহারের পর গত ৩ এপ্রিল আবার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, যা এখনো কার্যকর রয়েছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, দেশের সকল পর্যটন কেন্দ্র খুললেও সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্র ১৯ আগস্ট খুলছে না। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে সকল প্রকাশ মৎস্য ও কাকড়া শিকার বন্ধ রাখার ঘোষণা রয়েছে আগে থেকেই। ফলে ১ সেপ্টেম্বরের আগে সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্র খোলার সম্ভাবনা নেই।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সাধারণত জুলাই-আগস্ট মাছের প্রজনন মৌসুম। তবে এবার জুন মাস থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মৎস্য শিকার ও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর থেকে মৎস্য শিকারের জন্য পাশ পারমিট দেয়া হবে। তবে পর্যটন কেন্দ্র খোলার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি।
খুলনা আঞ্চলিক বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে সুন্দরবন খোলার ব্যাপারে কোন নির্দেশনা আমরা এখনও পাইনি। সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ হয়েছিল পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায়। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত আসলে পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়া হবে।
এদিকে ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিড বলেন, সংগঠনের তালিকাভুক্ত ৬৩টি ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেই দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। আর্থিক সংকটে সবাই মানবেতর জীবন যাপন করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন