ফরিদপুরে পদ্মার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিতা হচ্ছে। খুব দ্রুতই পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
এর মধ্যে, সদরপুর উপজেলা, দিয়ার নারকেল বাড়িয়া, নারকেল বাড়িয়ার চর, চরমানাইর, মানাইর ভাঙ্গন চলছে।
চরভদ্রাসন উপজেলার চরভদ্রাসন ইউনিয়নের হরিরামপুর, জাকেরের হুরা, ফরিদপুর সদর উপজেলার, ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের সিএন্ডবি ঘাটের বীপরীত পার এলাকা, সিএন্ডবি ঘাট যৌনপল্লী এলাকা,নর্থচ্যানেল ইউনিয়ের ভুঁইয়াডাঙ্গী, গোলডাঙ্গী এলাকায়ও চলছে তীব্র নদী ভাঙ্গন।
নতুন ভাঙ্গনে তিন উপজের ৪ টি ইউনিয়নের প্রায় ২৪ টি গ্রামের কমপক্ষে দুইশত পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে।
বাাপাউবোর সংশ্লিষ্ট ফরিদপুরের কর্মকর্তার ও চেষ্টা করছেন যতদুর সম্ভব ভাঙ্গন ঠেকাতে।
ফরিদপুর পাউবোর কর্মকর্তারা ভাঙ্গন কবলিত এলাকাকে রক্ষা করতে ডিগ্রীরচর সিএন্ডবি ঘাট বিপরীত পয়েন্টে এবং নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গী এলাকায় জিওব্যাগ নদিতে ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন। যা,দশ্যমান।
উল্লেখিত বিষয়, ইনকিলাবের সাথে কথা হয়, ফরিদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব, সুলতান মাহমুদের সাথে তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় ফরিদপুর- গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মার পানি ১৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্বি পেয়েছে।
গত বুধবার, ( ১৮ আগস্ট) গোয়ালন্দ পয়েন্টেই ৮.৬৫ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। হটাৎ পদ্মায় পানি বৃদ্বির কারনে উল্লেখিত, স্হানগুলোতে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
সদর থানার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক হোসেন এবং ভুইয়াডাঙ্গী গ্রামের মোঃ কাইয়ম সেখ বলেন,২/৩ দুন যাবৎ পদ্মায় পানি বাড়ায়, এলাকার বহু ধান, ধনচে ও পাটক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
সদর থানার ডিগ্রীরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মিন্টু ফকির বলেন, আমার ইউনিয়নের বেশীর ভাগ মানুষই চরাঞ্চলে বসবাস করেন,নদীতে পানি বাড়লে এদের কষ্টের সীমা থাকে না, ভাঙ্গন তো সব হারানোর কষ্ট।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক জনাব, অতুল সরকার বলেন, হটাৎ পানি বৃদ্বির কারনে, ভাঙ্গন চলছে। ভাঙ্গন ঠেকানোর কাজও চলছে আন্তরিকতার সাথে।
তবে, পানিতে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে, ৯ উপজেলার ইউএনও এবং সকল চেয়ারম্যানদের সর্তক অবস্হায় থেকে আন্তরিকতার সাথে জনগনের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রয়োজনে ও বিশেষ মুহুর্তে জেলা প্রশাসক কে সকলের সমস্যা জানাতে, অনুরোধ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন