টাঙ্গাইলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। টাঙ্গাইলে ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ও পৌলী নদীর পানি বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্থিতিশীল রয়েছে যমুনার নদীর পানি।
এদিকে ধলেশ্বরী, পৌলী ও বংশাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাধ উপচে একের পর এক নি¤œাঞ্চল প্লাবিত যাচ্ছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়ছে হাজারো মানুষ। গবাদি পশু নিয়ে কষ্টে দিন পার করছেন তারা। দেখা দিয়েছে গোখাদ্যের অভাব। এছাড়াও ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, দেলদুয়ার ও নাগরপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী বন্যাকবলিত এলাকায় পানির নীচে চলে যাচ্ছে শতশত একর আমন, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল।
পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে গৃহহীন হচ্ছে লোকজন। নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। হুমকিতে রয়েছে মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু স্থাপনা। বন্যা ও ভাঙনে মানবেতর জীবন যাপন করছে নদী পাড়ের মানুষ।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, যমুনার পানি স্থিতিশীল থাকলেও অভ্যন্তরিণ সকল নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর যে সব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সে সব এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন