যুক্তরাষ্ট্র বুধবার পুনরাবৃত্তি করেছে যে, তারা আশরাফ গনিকে আর আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলে মনে করছে না। তালেবান ক্ষমতায় আসার পরে ক্ষমতাচ্যুত ও পালিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট গনি প্রত্যাবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য করা হয়।
দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আশরাফ গনির খোঁজ মিলেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবু ধাবিতে। আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র দপ্তর বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মানবিক দিক বিবেচনা করে আশরাফ গানি এবং তার পরিবারকে আমাদের দেশে স্বাগত জানানো হয়েছে।’ ঝটিকা অভিযানে আফগানিস্তানের বেশিরভাগ এলাকা দখলে নিয়ে গত রোববার সকালে কাবুলের প্রবেশ পথগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান যোদ্ধারা। এরপর বিকালে প্রেসিডেন্ট গনির দেশত্যাগের খবর আসে এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদও তালেবানের দখলে চলে যায়। বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আশরাফ গনিকে আবু ধাবিতে দেখা গেছে বলে কয়েকটি সূত্রে খবর এসেছে। পরে সেই খবরই নিশ্চিত করল আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র দপ্তর।
গনির মন্ত্রিসভার ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল বিসমিল্লাহ মোহাম্মদী বলেছিলেন, ‘আমাদের হাত পিছমোড়া করে বেঁধে দেশটা বিক্রি করে দিয়ে চলে গেল ওই ধনী লোক আর তার গ্যাং।’ আশরাফ গনি সঙ্গীসাথীদের নিয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর সময় চারটি গাড়ি ও হেলিকপ্টারে করে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে গেছেন বলে খবর দেয় কাবুলে রাশিয়ার দূতাবাস। একই ধরনের অভিযোগ এসেছে তাজিকিস্তানে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জহির আগবরের পক্ষ থেকেও। পালানোর সময় আশরাফ গানি ১৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার নিয়ে গেছেন দাবি করে জহির আগবর বলেছেন, ‘এটা জাতি আর দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’।
বুধবার তাজিক রাজধানী দুশানবেতে আফগান দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন রাষ্ট্রদূত আগবর। তিনি বলেন, গনি সরকারের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমানুল্লাহ সালেহকে আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার দূতাবাস। এর আগে নিজেকে আফগানিস্তানের ‘বৈধ’ অন্তর্র্বতীকালীন সরকারপ্রধান ঘোষণা করে আমানুল্লাহ সালেহ মঙ্গলবার বলেছিলেন, তালেবানের কাছে তিনি ‘মাথা নত’ করবেন না। সূত্র : ব্যারনস, ইউনিল্যাড।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন